
গতকাল রাতে পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় আছড়ে পড়লো শিলাবৃষ্টি।
তবে এই শিলাবৃষ্টির তীব্রতা লক্ষ্য করা গেলো কোচবিহার, আলীপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার বেশ কিছু অংশে। সন্ধ্যা থেকে আকাশে পরিলক্ষিত হয় মেঘের আনাগোনা ও বিদ্যুৎ চমকানির ঝলক। গতকাল রাত ৯ টার সময় প্রচন্ড শিলাবৃষ্টি শুরু হয় কোচবিহারের অন্তর্গত দিনহাটা ব্লক সংলগ্ন এলাকায়। এর প্রভাবে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় দেওচড়াই,নাজিরহাট,ধুমপুর বলরামপুর অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামকে।
দেওচড়াই অঞ্চলের ভাগচাষী কৃষক শুকারু বর্মন জানিয়েছেন,”জমি লিজ নিয়ে এবার ৫ বিঘা জমিতে ভুট্টা রোপন করেছি, কালকের প্রচন্ড শিলাবৃষ্টির ফলে কিছু কিছু ভুট্টার গাছ সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে। লিজের টাকা কিভাবে শোধ করবো চিন্তায় আছি ।” বলরামপুরের পাট চাষী মজিদ আলী জানান,”২ বিঘা পাট চাষ করেছি যার প্রায় সম্পূর্ণটাই কালকের শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে, অনেক টা ক্ষতি হয়ে গেলো।”
অন্যদিকে জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত
মালবাজার সংলগ্ন তেশিমিলা,বড়দিঘি,মাথাচুকা এলাকায় প্রবল ঝড়বৃষ্টি হয়।আনুমানিক রাত ১টা৪৫ থেকে ২টা পর্যন্ত প্রবল ঝড়বৃষ্টি আছড়ে পড়ে মালবাজারের বুকে।মানুষ যখন রাত ঘুমে আচ্ছন্ন ঠিক সেই সময় প্রকৃতি তার নিজস্ব ভঙ্গিতে চালিয়ে গেল তাণ্ডব ,তবে ক্ষয়ক্ষতির খবর সেভাবে উঠে আসেনি ।
অন্যদিকে আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ও মাদারিহাট ব্লকে রাতে প্রচন্ড ঝড়ের প্রভাব দেখা যায় । জার দরুন বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার মাঝখানে গাছ ভেঙে পড়ে । জেলার বিভিন্ন এলাকার ভুট্টা ও পাট চাষীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানা গেছে ।
লকডাউনের ফলে এমনিতেই মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে তারমধ্যে প্রকৃতি যদি এভাবে নিষ্ঠুর তান্ডব চালায় তাহলে পরিস্থিতি কি হবে সেটা সময়ে উত্তর দেবে ।