
বিশেষ সংবাদদাতা, হাওড়া: লকডাউনের মাঝে পুলিশের উপর আক্রমণের কারণে হাওড়ার টিকিয়াপাড়া খবরের শিরোনামে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিকিয়াপাড়ার ঘটনাকে খারাপ অভিহিত করে পুলিশকে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে বলেন। ‘ক্রাইম ইজ ক্রাইম’ বলে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী।
এরপরই পুলিশ কড়া ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর হয়। ইতিমধ্যে টিকিয়াপাড়া ঘটনার মূল কাণ্ডে যুক্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। আর তার মধ্যেই ওই ঘটনার মূল নায়ক হিসেবে বিজেপির এক নেতার ছোট ভাইয়ের নাম উঠে আসে।
সেদিনের ঘটনার ভিডিয়োটি প্রকাশ করে হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ”টিকিয়াপাড়া কাণ্ডে মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে যিনি লাফিয়ে এসে পুলিশ অফিসারকে আঘাত করেন তিনিও আছেন। ঘটনার মূল চক্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা যায় মূল অভিযুক্ত হাওড়া জেলা বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের এক নেতার ছোট ভাই।
ঘটনায় বিজেপির যোগসূত্রের কারণে চাপে পড়ে দলের প্রণয় রায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ”সারা বাংলাজুড়ে এই অবস্থা চলছে। পুলিশকে প্রহৃত হতে হচ্ছে। মানুষ রেশন পাচ্ছে না, অথচ হাওড়ার মূল অভিযুক্তের বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ।” তবে তিনি বিজেপি নেতার ছোট ভাইয়ের যুক্ত থাকার বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবারের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হামলার ষড়যন্ত্র এবং তাতে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহলদারি মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রেফতারির সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক রং লাগানোর চেষ্টা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে বলেন, ”শকুনের মতো বসে রয়েছে, কেউ মরবে আর এরা ঠুকরে খাবে।” তিনি আরও জানান, পুলিশ নিজের কাজ করছে, দোষীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। এসব নিয়ে রাজনীতি করা বন্ধ করুন। উত্তরপ্রদেশে পুলিশকে মারা হচ্ছে, কী ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার?
তবে টিকিয়াপাড়া কাণ্ডে বিজেপির নাম জড়ানোয় বাংলার গেরুয়া শিবির চাপে রয়েছে বলে অনেকের ধারণা।