নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: বেআইনি বালি পাথর কারবারিদের বিরুদ্ধে নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কড়া মনোভাব প্রকাশ করতেই বিভিন্ন নদীতে অভিযানে নামে পুলিশ প্রশাসন। আর অভিযানে নেমেই শুক্রবার আক্রান্ত হলেন প্রায় ৮ জন পুলিশ কর্মী। এদের মধ্যে মহিলা পুলিশ কর্মীও রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ভাংচুর করা হয় পুলিশে বেশ কিছু গাড়ি। শুক্রবার বালি কারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় মাল ব্লকের ওদলাবাড়িতে।
প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে, শুক্রবার ওদলাবাড়ির ঘিস নদীতে বালি পাথরের অবৈধ কারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে মাল থানার পুলিশ। আর সেখানেই পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলা চলে বলে অভিযোগ। ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের ওদলাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মাল থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আটক হয়েছে দুটি গাড়ি।
প্রসঙ্গত জানা গেছে শুক্রবার সকালে মাল ব্লকের ওদলাবাড়ির ঘীস নদী এলাকায় অভিযানে যায় মালবাজার থানার পুলিশ। নদীতে বেআইনি ভাবে বালি পাথর তোলার কাজে লিপ্ত একটি ট্রাক্টরকে আটক করে পুলিশ। সেই সময় ট্রাক্টর মালিক এবং নদীতে বালি পাথর কাজ করার সাথে যুক্ত মানুষদের সাথে বচসা বাধে পুলিশের। সেই সময় পুলিশ এক জনকে আটক করে। এরপরই পুলিশের কাছ থেকে আটক করা ব্যাক্তিকে ছারাতে গেলেই খন্ডযুদ্ধ বেধে যায়। এলাকার কিছু মানুষ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে পাথর বৃষ্টি শুরু করে। আর এতেই ৮ জন পুলিশকর্মী আহত হন। ভেঙ্গে দেওয়া হয় পুলিশের তিনটি গাড়িকে।
এরপরই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন মালবাজার থানার আই সি সুজিত লামা, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রবীন থাপা সহ জলপাইগুড়ি জেলার এস পি দেবর্ষী দত্ত।এলাকা জুড়েই শুরু হয় ঘটনায় জড়িতদের ধরপাকর। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প।
প্রসঙ্গত জলপাইগুড়ি জেলার এস পি দেবর্ষি দত্ত সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ” নদীতে কোনো বেয়াইনি কাজ করতে দেওয়া যাবে না। বেআইনি কাজে জারাই জরিত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ চলবে। এদিনের ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান। আইন সবার জন্য সমান। যারাই সরকারি আইনকে লঙ্ঘন করবেন তাদের বিরুদ্ধেই ব্যাবস্থা নেওয়া হবে”।
নদীতে কাজ করা মানুষদের বক্তব্য, ” নদীতে কাজ করে খাই। এই ভাবে ধরপাকর হলে কি ভাবে চলবে আমাদের। নদীতে বড় গাড়ি চলে সেই সমস্ত গাড়িও ধরা উচিত। সবার জন্য একই আইন হওয়া দরকার”।