নিউজপিডিয়া ডেস্ক: অসমের বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটছে। বন্যার কারণে শনিবার গোলাঘাট জেলার কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে মোট ৯৯ টি প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
পার্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ‘এখনও পর্যন্ত মোট ৯৬টি প্রাণী মারা গেছে। তার মধ্যে রয়েছে আটটি গন্ডার, সাতটি বুনো শুয়োর, দুটি জলাভূমির হরিণ, ৭৪টি হগ হরিণ এবং দুটি সজারু।’
আসাম সরকারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান থেকে মোট ১৩২ টি প্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পার্কটির ৮৫ শতাংশ বন্যার জলের তলায় রয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পাশিঘর ও ডিব্রুগড়ে জলস্তর নির্ধারিত বিপদসীমার নীচে রয়েছে।। তবে নুমালিগড়, ধানসিড়িমুখ ও তেজপুরে বন্যার জল এখনও বিপদসীমার উপরেই অবস্থান করছে।
আসাম রাজ্য বিপর্যয় পরিচালন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অতি বর্ষণ এবং ব্রহ্মপুত্র নদের জলস্তর বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট বন্যায় আসামের ৩০ টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে কমপক্ষে ৭৬ জন মারা গেছেন এবং প্রায় ৫৪ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
ইতিমধ্যে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর আগামী কয়েকদিন অতি বর্ষণের ফলে কয়েকটি রাজ্যে লাল সতর্কতা জারি করেছে, তার মধ্যে অসম রাজ্যটিও রয়েছে। তাই সেখানকার পরিস্থিতি যে আরও ভয়ানক হতে যাচ্ছে তা সহজেই অনুমেয়।
উল্লেখ্য যে, কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান হল ভারতের আসাম রাজ্যের গোলাঘাট ও নগাঁও জেলায় অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। এটি একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। বিশ্বের একশৃঙ্গ গণ্ডারের দুই-তৃতীয়াংশ এই জাতীয় অরণ্যে বাস করে। ২০০৬ সালে এটি ব্যাঘ্র প্রকল্প হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। এই জাতীয় উদ্যানে প্রচুর হাতি, বন্য জলমহিষ ও বারশৃঙ্গার পাওয়া যায়। এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি সংরক্ষণ করা হয় বলে বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশানাল একে ‘গুরুত্বপূর্ণ পক্ষীক্ষেত্র’ বলেও ঘোষণা করেছে। পূর্ব হিমালয় বায়োডাইভার্সিটি হটস্পটের সীমান্তে অবস্থিত বলে এই উদ্যানে বহু বিচিত্র প্রজাতির সমাগম দেখা যায়।