নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা: মালদা জেলার ইংরেজবাজার থানার নিমাইসরাই এলাকায় চকোলেটের লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে মাত্র ৪ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী মাঝবয়সী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই শিশুকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নির্যাতিত শিশু কন্যার পরিবার জানিয়েছে, গত ১৬ জুন বাড়ির বাইরে খেলার সময় প্রতিবেশী সফিকুল আলম তাকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এদিকে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবার। তখন অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি থেকে শিশুটিকে কাঁপতে কাঁপতে বেরিয়ে আসে। তার গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্তপাত হতে দেখে পরিবারের লোকজন ভয় পেয়ে যান। শিশুটিকে জানতে চাইলে সমস্ত ঘটনা বলে দেয়। তখনই পরিবারের লোকেরা তাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ততার পরিবার ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সেদিনই অভিযুক্ত চাল ব্যবসায়ী সফিকুল আলমকে গ্রেফতার করে। পরের দিন আদালতে তোলা হলে তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। জেরার মুখে অভিযোগ স্বীকার করেছে বল দাবি পুলিশের।
শুক্রবার ইংরেজবাজার মহিলা থানার পুলিশ ওই শিশুর মা ও বাবাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে মহিলা থানার পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তের বাড়ি ফাঁকা ছিল।
এদিকে মহিলা থানার আইসি চুংফু ভুটিয়া বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করেছি। ধৃত ব্যক্তি সব স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
শিশুকন্যাটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত তার মা বাবাও। শিশুটির পরিবার অভিযুক্তের ফাঁসি চাইছে।