স্বাধীনতার চিক্যাস
মোহাঃ মোসারাফ হোসেন
স্বাধীনতায় আইজকাইল বিস্কুটের বদলে জিলাপি,পারুটি দ্যাওয়া উঠ্যাছে ইস্কুলে কুনকালে।
এখুন প্যাট ভৈর্যা গরম ভাত দুপপহরে।
আগে হাঁইঠ্যা হাঁইঠ্যা ইস্কুল যাইতোক ছাইলাপিল্যা,
এখুন সুবুজ সাইকেলে প্যাডেল ঘুরাইলি হৈলো।
মাত্র চোহাত্তর বোচ্ছরে দ্যাশ কত্ত আগালছে!
ফুল পতাকা উড়িয়্যা,ভাষণ দিয়্যা
চইল্যা গ্যালো মাষ্টার,পোধধান।
কিন্তু কোচি জাঙ্গরের যে ছুঁড়ারা হ্যোট্যালে খাটে,
অর্ঘে লাইগ্যা কি স্বাধীনতা আসেনি হে?
হোসপিট্যালের বারান্দায় বেওয়ারিশের মতোন
লোটায় যারা,
অর্ঘে দাদো-পইদ্দাদোরা কি লঢ়েনি বিটিশের সুঁতে?
দ্যাশের সম্পত্তি ফের বেলে বিদ্যাশে জমা করছে কেহু কেহু।
আর হাঁরঘে সোনার ফসোলের দ্যাশে আইঝো দ্যাখো না খ্যায়া মরছে মানুষ!
ওই সস্তা দান গালাকে ভাষণ দিয়্যা আর কদ্দিন স্বাধীনতা ভাবাবি হে?
বড়লোকের ঢেকুরকি আর কদ্দিন শঙ্খ-আজানের আওয়াজ মুনে করাবি তোরা?
স্বাধীনতার ওই চিক্যাসট্যাই আইঝো সভায় যে ধান সুখাইতে পাইনা।
আর কতোঝোনা রাজনীতিতে রুটি গৈরমা লিছে ওই রৈধে।