অনিকেত
সন্দীপ গায়েন
একজন বিদগ্ধ পিতার জীবন অনিকেত প্রান্তরে মরীচিকা কিংবা আলেয়ার অস্তিত্বে একটা মানসিক উপশম খোঁজে।
যখন অনিবার্য সত্যে জীবন মৃত্যু কেবল মাত্র ভাসমান অস্তিত্ব।
সৃজনশীল পলিমাটির শিকড়ের টান সুসম- মাতৃত্বের নিখাদ ভালোবাসা।
তবুও অজান্তেই আমিটাকে আমিত্ববোধের স্রোতে অন্ধ পুত্রবাৎসল্যে রক্তের টান আলগা হয়ে যায়।
ধারাপাতে একান্ন শব্দগুলোর গভীরতা আজ আর প্রপিতামহের শবদাহে দায়বদ্ধ নয়।
তাইতো চরম ব্যক্তি স্বার্থে ব্রাজিলের অরণ্য- উত্তাপে বিশ্বমাতৃত্বের বুকে ধস নামে।
তখন বনশাঁই টবে কেবলমাত্র নিজের সন্তানকে রোপণ ক’রে কতটুকু আর প্রশ্বাস! সমস্ত পিতার সন্তান না হলে জল আকাশ বাতাস মাটি বিশ্বউষ্ণায়ণের এক মারণ ক্ষেত্র।
নয়তো শৈলী সন্তানের বিপ্লবীবোধ থাকা সত্বেও খুদিরাম হতে পারবে না।
চার দিকের ধুলাবালির ঝড়ে শহীদ মিনারে
আগাছা জন্মাবে।
বনের অভাবে আমার সন্তানও জনপদে অবাধে চোখরাঙাবে।
মননশীল সর্বহারা চিন্তায় রাজপথে যদি চোখ না দেখাই,
মরুভূমির তপ্তবালিতে বিদ্গ্ধ
পিতার জীবন অনিকেত প্রান্তরে মরীচিকা কিংবা আলেয়ার অস্তিত্বে একটা মানসিক উপশম খোঁজে।
যখন অনিবার্য সত্যে জীবন মৃত্যু যার কাছে কেবল মাত্র ভাসমান অস্তিত্ব।