স্বাধীন নাকি
তীর্থঙ্কর সুমিত
হুগলী
স্বাধীন নাকি আমরা সবাই স্বাধীন সারা দেশটায়
স্বাধীন নামের মুকুট ঢাকা সব মানুষের কেশটায়
তবুও স্বাধীন অবাক বড় মানুষ নামের ঝঞ্জা
চোখের জলে বন্যা নামায় পাশের বাড়ির রঞ্জা
দোষ কি তার তোমরা বলো দেখতে তাকে বেশ
নামের আগে ধর্ষিতাটাই স্বাধীনতার রেষ।
বাপ্পা, পিন্টু, জাফররা সব রেল লাইনে ঘর
নিজের মতই সাজায় তারা স্বাধীন যাযাবর
খাবার থালা হাতে নিয়ে খিদের জ্বালায় ঘোরে
কারোর খাবার দেখলে পরে লোভ করে মরে
চুরির দায়ে জেলে যায় পেটে খিদে হু হু
এর-ই নাম স্বাধীনতা লোকে বলে উ হু।
আর কেবলা ঠাকুর স্বাধীন হয়ে নোংড়া জল মাখে
চৌরাস্তার মোড়ে তাকে পাগল বলে ডাকে
আমার কথা বলবো কি আর আমার স্বাধীনতা
মনের সুখে হাসতে গিয়েও বাধ্যবাধকতা।