নিউজপিডিয়া ডেস্ক: কিছুদিন আগেই পঙ্গপাল নিয়ে সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এবার গুরুগ্রামে পৌঁছে গেল পঙ্গপালের ঝাঁক। লকডাউনের জেরে দেশের আর্থিক অবস্থা যেমন ভেঙে পড়েছে, তেমনই বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে সাধারণ মানুষও। এবার গুরুগ্রামের কৃষকদের আরও সঙ্কটে ফেলতে দস্যুর ন্যায় ঝাঁকিয়ে পড়ল পঙ্গপালের ঝাঁক।
গুরুগ্রামের সাইবার হাব এলাকার কাছে লক্ষ লক্ষ পঙ্গপাল দল বেঁধে আক্রমণ চালাচ্ছে। কালো মেঘের মতো দিল্লী-গুরুগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ওই দলটি গুরুগ্রামে প্রবেশ করেছে। তবে সেখান থেকে দিল্লীতেও হানা দেওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পঙ্গপালের আক্রমণ থেকে বাঁচতে স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যে গুরুগ্রামের বাসিন্দাদের যতটা সম্ভব দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখার পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি বাসনপত্র, ঢাক-ঢোল ইত্যাদি পিটিয়ে শব্দ করারও পরামর্শ দিয়েছে। কারণ জোর আওয়াজের ফলে পঙ্গপালের ঝাঁক ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়তে পারে।
গুরুগ্রামের এমজি রোডের বেভারলি পার্ক ২ এর বাসিন্দা রিতা শর্মা জানিয়েছেন, ‘সকাল ১১ টা নাগাদ পঙ্গপালের দল ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে শুরু করেছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘরবাড়ির জানলা, দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলাম।’
হরিয়ানার মুখ্যসচিব কেশনি আনন্দ অরোরা রাজ্যের কৃষি দফতর এবং জেলা প্রশাসনকে পঙ্গপালের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে সব রকম পদক্ষেপের প্রস্তুতি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। গুরুগ্রাম প্রশাসন কৃষকদের কীটনাশক স্প্রে করার পাম্পগুলোকে প্রস্তুত রাখতে বলেছে। যাতে প্রয়োজনের সময় তাঁরা সেটা ব্যবহার করতে পারেন।
মূলত আফ্রিকা থেকে এই পঙ্গপালের ঝাঁক ইরান, পাকিস্তান হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। এদের এক একটি দল ক্ষেতের পর ক্ষেত নষ্ট করে দিতে পারে মুহূর্তের মধ্যে।
ইতিপূর্বে রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং হরিয়ানা সহ ভারতের অনেক স্থানে হানা দিয়ে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নষ্ট করেছে এই পঙ্গপালের দল। এর সঙ্গে লড়াই করতে ১১টি কন্ট্রোল রুম খুলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।