নিউজপিডিয়া ডেস্ক: মগের মুলুক বুঝি একেই বলে। ৩টি এসি, ৩টি এলইডি টিভি, ২টি ফ্রিজ, ২০টি পাখা, ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা চালানো বাড়িতে মাসিক বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ মাত্র ৪৫০ টাকা! হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। উত্তরপ্রদেশ সরকারের অধীনস্ত দক্ষিণাঞ্চল বিদ্যুৎ নিগম ৪৫০ টাকা বিল পাঠাতো কানপুরের গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের বাড়িতে।
জানা গেছে, ৮ পুলিশের হত্যাকারী সন্ত্রাসী বিকাশ দুবের বাড়ির প্রতিটি বাথরুমে পাখা (ফ্যান) চলত। সে নাকি গরম সহ্য করতে পারত না! তাই ঘরে ঢোকার আগে থেকেই চালানো হত এসি। এছাড়াও বাড়িতে সাবমার্সিবেল পাম্পের পাশাপাশি সারা বাড়িতে ব্যবহৃত হতো ২৫-৩০টি বাল্ব।
এত কিছু ব্যবহার সত্ত্বেও বিদ্যুৎ বিল কম আসার কারণ হিসেবে যোগী সরকারের আধিকারিকদের ‘ভয়’ কে উল্লেখ করেছে সংশ্লিষ্ট মহল। বলা হয়েছে, বিকাশের বাড়িতে এক কিলোওয়াটের কানেকশন সত্ত্বেও ছিল না মিটার! তাই ন্যূনতম হিসেবে ৪৫০ টাকা বিল পাঠানো হতো। স্থানীয় সাব স্টেশন থেকে জানানো হয়েছে, বিদ্যুতের বিল জমা পড়লেও তা কে জমা দিত সেটা তারা জানে না।
সংশ্লিষ্ট মহল জানিয়েছে, বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীদের নাকি সাহস ছিল না বিকাশের বাড়ির বিদ্যুৎ সঠিক খরচ খতিয়ে দেখার। তাছাড়া বিকাশের অন্যান্য পান্ডাদের বাড়িতেও ছিল না মিটার। আবার কারো থাকলেও বিলও নাকি আসত সামান্যই। বিদ্যুৎ নিগমের মতে, তাদের কর্মীদের এত সাহস ছিল না তাদের বিদ্যুৎ বিল খতিয়ে দেখে বিল বানানো।
এতদিন ধরে এসব হয়ে আসার পরে এখন পুলিশি এনকাউন্টারে বিকাশের মৃত্যুর পর তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন সাব স্টেশনের এসডিও সৌরভ মিশ্র। তিনি জানিয়েছেন, বিকাশের বাড়িতে ছিল মাত্র এক কিলোওয়াটের কানেকশন। তবুও এতগুলো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কীভাবে চলতো! বিকাশের কয়েকজন ঘনিষ্ঠের নামেও একই অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সমস্ত অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, মাঝে মধ্যেই সাধারণের বিদ্যুৎ বিল অসাধারণ হয়ে যায়। আর বিকাশ দুবে ও তার ঘনিষ্ঠদের বিদ্যুৎ বিলের বিষয়টি প্রকাশিত হতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিদ্যুৎ বিভাগের স্বচ্ছতা নিয়ে।