নিউজপিডিয়া ডেস্কঃ রায়দিঘিতে বিজেপির হয়ে সভা করতে গিয়ে রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়কে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন শোভন-বৈশাখী। তারই পাল্টা হিসেবে শনিবার সকালে আলিপুর আদালতে গিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করলেন তৃণমূল বিধায়ক-অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়।
শনিবার সকালে আলিপুর আদালতের ২ নং ঘরে ঢুকতে দেখা যায় দেবশ্রীকে। তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ওঁরা রায়দিঘিতে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে যা নয় তাই বলে এসেছেন। বলা হয়েছে, আমি নাকি অপদার্থ বিধায়ক। প্রায়শ্চিত্ত করতে এসেছি।” তিনি অভিযোগের সুরে বলেন, “বৈশাখী দেবী বলেছেন, আমি নাকি রাজনীতিতেও নেই, অভিনয়তেও নেই। ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমন করা হয়েছে। আমফানের পর আমি নাকি দেশপ্রিয় পার্কে বসে গান গেয়েছি।” এখানেই শেষ না করে তিনি আরও বলেন, “ছবি করছি কিনা তা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। তা নিয়ে মন্তব্য করার তিনি কে? ওঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আমি তো কখনও কথা বলিনি। অনেকদিন ধরেই সহ্য করছি। আজ সহ্যের সমস্ত বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। সেই কারণেই আমি আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেছি।”
টোটো কেলেঙ্কারি নিয়েও বৈশাখী আক্রমন করেছিলেন দেবশ্রীকে। তা নিয়েও দেবশ্রী পাল্টা বলেন, “উনি গিয়ে বলেছেন, টোটো কেলেঙ্কারির পয়সা নিয়ে আমি পালিয়েছি। কিন্তু মূল অভিযুক্তকে জেলে পাঠিয়েছি। তার শিকার শুধু আমি নই, কৃষ্ণনগরের এক চিকিৎসকের টাকাও আত্মসাৎ করেছে সে। উপকার করতে গিয়ে আমি প্রতারকের হাতে পড়েছিলাম। বিষয়টি না জেনে কারও মন্তব্য করার অধিকার নেই। আমি ভদ্র ঘরের মেয়ে। সেই কারণেই চুপ ছিলাম। কিন্তু যেভাবে কাদা ছেটানো হল, তাকে আমি ধিক্কার জানাই।”
শোভন-বৈশাখীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার বৈশাখী প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “মামলা কী নিয়ে করেছেন তা যতক্ষণ পর্যন্ত বুঝতে না পারছি, ততক্ষণ এ নিয়ে কিছু বলতে পারব না। তিনি আদালতে গিয়েছেন। আদালতেই এর উত্তর পাবেন।” এখন দেখার বিষয়, এই মানহানি মামলা নিয়ে আদালতে দু পক্ষের জল কতদূর গড়ায়।