সোমনাথ দত্ত,মালবাজার: সমগ্র ডুয়ার্স এলাকার অন্যতম প্রাচীনতম উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল হোলো মাল আদর্শ বিদ্যা ভবন। এই স্কুল থেকেই গত ১৯৯৫ সালে সেই সময়কার একঝাঁক তরুণ মাধ্যমিক পাশ করেছিল যারা আজ সকলেই জীবনের মাঝ বয়সে দাঁড়িয়ে। এই বয়সে এসে ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসকে উদযাপনের জন্য এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলো বর্তমান সময়ের আঙিনায় দাঁড়িয়ে। ১৯৯৫ সালে যেসকল তরুণ মাধ্যমিক পাস করেছিল তাদের আজ অনেকেই সরকারি, বেসরকারি সংস্থায় চাকুরী, ব্যবসা সহ অন্যান্য কাজে আমাদের শহরের পার্শবর্তী শহর শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। তারা সকলেই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে শনিবার সকালে সকলে মিলে শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমবেত হন।
এরপরে সেখান থেকে সকলে মিলে নিজেদের প্রাক্তন স্কুলে গিয়ে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সহ করোনা আবহে যে সমস্ত মানুষজন নিজেদের জীবনের বাজি রেখে কাজ করে চলেছেন তাদের সকলকেই পুষ্প স্তবক দিয়ে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন,তাদের মধ্যে ছিলেন উত্তরবঙ্গ রাস্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার ডিপো ইনচার্জ শঙ্কর দে, মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ডঃ সুরজিৎ সেন,মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবাশীষ চক্রবর্তী, মাল থানার ওসি শুভাশিস চক্রবর্তী, পৌর সভার স্বাস্থ্য কো অর্ডিনেটর সুপ্রতিম দাস সহ শহরের একঝাঁক করোনা যোদ্ধা।
এরপরে দুপুরে শহরের বিভিন্ন এলাকার প্রায় পাঁচ শতাধিক দুস্থ, ভবঘুরেদের আহারের বন্দোবস্ত করে প্রত্যেকের হাতে তুলে দেন। এই সমস্ত কাজের উদ্যোগ যারা গ্রহণ করেছিলেন ১৯৯৫ সালের সেই তরুণ তথা বয়সের মধ্যপ্রান্তে পৌঁছনো যুবক দের মধ্যে ছিলেন নবীন সাহা, প্রশান্ত চ্যাটার্জী, বাপ্পা বসাক, নবেন্দু সিনহা, বিদেশ বসু, রঞ্জিত সাহা, অভিক চৌধুরী, সুমন পাল সহ অন্যান্যরা। তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার অনেকেই।
এ প্রসঙ্গে আদর্শ বিদ্যা ভবন এর প্রাক্তনী তথা পেশা প্রাথমিক শিক্ষক বিদেশ বাসু বলেন আমরা সকলেই আজ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছি। সময়ের অভাবে সকলের সবসময় একত্রিত হওয়া হয়ে ওঠে না। আজ সকলে একত্রিত হবো বলে অনেকদিন যাবৎ চিন্তা ভাবনা করা হয়েছিলোএবং সকলে মিলেই সির্ধান্ত নিয়েছিলাম এই ধরণের কিছু একটা কাজ করবো তা আজ ফলপ্রসূ হয়েছে খুব ভালো লাগছে এধরণের কর্মকান্ডে নিজেকে সামিল করতে পেরে। অপর এক প্রাক্তনী তথা বেসরকারি সংস্থার কর্মী প্রশান্ত চ্যাটার্জী বলেন বর্তমানে যে করোনা আতঙ্কে আমরা সকলে নিজেদেরকে গৃহবন্দী করে রেখেছি কিন্তু প্রশাসনিক যারা আমাদের সবসময় নিজেদের জীবনের বাজি রেখে আমাদের বিভিন্ন জরুরী পরিষেবা প্রদান করতে পেরে নিজেদের গর্বিত মনে হচ্ছে সাথে দুস্থ, ভবঘুরে মানুষদের জন্য কিছু করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আগামীতেও আরও কিছু করবার চিন্তাভাবনাও রয়েছে আমাদের।
Khub proud feel kori ami nijeo ek jon Malbazar basi oo Mal Adarsha Bidya Bhabaner ex student hisabe…………grand salute to all of my elder brothers……jai hind.