নিউজপিডিয়া ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের ‘অপারেশন মুসকান সিওভিডি -১৯’ প্রচারের ফলে ৪ বছরের ব্যবধানে এক মা-পুত্রকে পুনরায় একত্রিত করা হয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের ডিজিপি গৌতম সাওয়ং একটি বিশেষ অভিযান শুরু করেছিলেন। যে সমস্ত বাচ্চারা সঙ্কটকালীন সময়ে সমস্যায় পড়েছিল তাদের সহায়তা করার জন্য ফ্ল্যাগশিপ ক্যাম্পেইনের অধীনে সেই বিশেষ অভিযান শুরু করেছিলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলার পালাকোল্লুর বাসিন্দা শ্রী ললিতা তাঁর দ্বিতীয় পুত্র শ্রিনিবাসের জন্মের পরেই তার স্বামীকে হারিয়েছিলেন। কঠিন লড়াই শুরু হয় তাঁর। জীবন বাঁচানোর তাগিদে সামান্য চাকরি গ্রহণ করতে হয় তাঁকে, এমনকি কখনও কখনও ছেলেদের খাওয়ানোর জন্য ছিনতাইকারী হিসাবেও কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।
২০১৬ সালে তরুণ শ্রীনীবাস পালাকোল্লুতে ট্রেনে চড়ে পালিয়ে এসে বিজয়ওয়াডা রেলস্টেশনে এসেছিলেন। রেলওয়ে পুলিশ শ্রীনীবাসকে উদ্ধার করে বিজয়ওয়াডার একটি শিশু সহায়তা কেন্দ্রে রেখে আসেন।
শ্রীনিবাস পরবর্তীতে প্রকাশ করে যে, সে পশ্চিম গোদাবরী জেলার পালাকোল্লুর বাসিন্দা। বিজয়ওয়াডা সিডাব্লুসি’র পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয় পশ্চিম পশ্চিম গোদাবরীর সিডাব্লুসি-র কাছে।
কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং সফলভাবে তার মাকে সনাক্ত করতে সমর্থ হন। পরিশেষে ৪ বছরের দীর্ঘ ব্যবধানের পরে মা-ছেলের পুনরায় মিলিত করে।
ডিজিপি সাওয়ং বলেন, প্রায় ৪ বছরের বিচ্ছেদের পর মা-ছেলের পুনর্মিলন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। দুর্বল, অসহায়দের জীবনে পরিবর্তন আনতে এই উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছিল। পরিকল্পনাটি সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য আমাদের প্রথম সারির যোদ্ধাদের কর্ম যথেষ্ট প্রশংসনীয়। এই ধরনের পদক্ষেপের ফলে ৭২ ঘন্টার মধ্যে ২৭৩৯ শিশুকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
অন্ধ্রের ‘পেরেচেরলা’ নামের একটি সংস্থা থেকে ‘চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক’ হিসাবে নিযুক্ত ১০টি শিশুকে মুক্ত করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া বিহারের সমস্ত বাচ্চাকে একটি চাইল্ড কেয়ার হোমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই সংস্থার পরিচালনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বিশেষ এই অভিযানটি জারি থাকবে আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত।