নিউজপিডিয়া ডেস্ক: লকডাউন শুরুর ৫২ দিন পর তৃতীয় দফার লকডাউনের মধ্যেই চালু হচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন। মঙ্গলবার থেকে দিল্লি ও পনেরোটি শহরের মধ্যে ট্রেন চালাবে রেলমন্ত্রক। বুকিং শুরু হওয়ার তিনঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে গিয়েছে ৫৪ হাজার আসন। কিন্তু করোনা আবহে বদলে গিয়েছে ট্রেনযাত্রার সমস্ত নিয়ম ৷ থাকবে না কোনও ওয়েটিং লিস্ট, আরএসি ৷
রেলমন্ত্রকের টুইট, এবার ট্রেনের সফরকারী যাত্রীদের মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক। সোমবার সন্ধ্যায় রেলমন্ত্রকের ট্যুইট করে জানিয়েছে, যাত্রা শুরুর আগে যাত্রীদের নিজেদের ফোনে বাধ্যতামূলকভাবে ডাউনলোড করতে হবে আরোগ্য সেতু অ্যাপ। অর্থাৎ বিনা আরোগ্য সেতু অ্যাপ ছাড়া বিশেষ ট্রেনে ওঠা যাবে না।
প্রসঙ্গত, এর আগে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্র। অফিসে যাওয়ার আগে প্রতিটি কর্মচারীকে দেখে নিতে হবে নিজের শারীরিক পরিস্থিতি। এই অ্যাপ সবুজ সংকেত দিলে তবেই কাজে বেরোতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই বিশেষ ট্রেন নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে বিলাসপুর, ডিব্রুগড়, আগরতলা, হাওড়া, পটনা, রাঁচি, ভুবনেশ্বর, সেকেন্দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, তিরুঅনন্তপুরম, মাডগাঁও, মুম্বই সেন্ট্রাল, আহমেদাবাদ এবং জম্মু-তাওয়াই পর্যন্ত চলবে ৷
জানা গেছে, ট্রেনের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ জারি করেছে রেলমন্ত্রক। কাউন্টার থেকে কোনও টিকিট মিলবে না ৷ শুধুমাত্র অনলাইনে IRCTC-র সাইট থেকে টিকিট বুক করতে হবে ৷ কনফার্মড ই-টিকিট ছাড়া কোনও যাত্রীকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে রেলমন্ত্রক।
এছাড়াও, যাত্রীদের ট্রেনের সময়ের ২ ঘণ্টা আগে স্টেশনে পৌঁছতে হবে৷ সমস্ত যাত্রীদের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ৷ মাস্ক না থাকলে কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে ৷ প্রত্যেক যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে ৷