নিউজপিডিয়া ডেস্কঃ বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ হয়ে গেছে। রাত পোহালেই বাম-কংগ্রেসের প্রথম ব্রিগেড। আর তাতে উপস্থিত থাকতে পারছেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বামেদের অন্যতম নেতৃত্ব বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তবে যে কোনও ভাবেই যাতে বুদ্ধবাবুকে ব্রিগেডে আনা যায় সেই চেষ্টার কোনও খামতিই রাখেননি বামেরা। কিন্তু শনিবার জানা যায় চিকিৎসকের বারণ থাকায় আসতে পারবেন না বুদ্ধদেববাবু। তাঁর শরীরের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে এসবের পরেও তিনি অন্তত যাতে ভার্চুয়ালিও ব্রিগেডে উপস্থিত থাকতে পারেন তার জন্যও যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল দুই শিবির। তবে এই উপায়ও নেই। ফলে অগত্যা বুদ্ধবাবুর চিঠিই ভরসা বামজনতার কাছে।
তাই তিনি ব্রিগেডের আগের রাতে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানান, “ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে বিভিন্ন ভাবে খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। শুনে বুঝতে পারছি, বহু মানুষ সমাবেশে আসবেন এবং অনেকে এসেও গিয়েছেন। বড় সমাবেশ হবে। এ রকম একটা বৃহৎ সমাবেশে যেতে না পারার মানসিক যন্ত্রনা বোঝানো যাবে না। মাঠে, ময়দানে কমরেডরা লড়াই করছেন, আজ শারীরিক অসুস্থতার কারণে ডাক্তারদের অসুস্থতা মেনে চলছি আমি। মাঠে-ময়দানে মিটিং চলছে, আর আমি গৃহবন্দি, যা কোনোদিন কল্পনাও করতে পারিনি। সমাবেশের সাফল্য কামনা করছি।”
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ বাম নেতৃত্ব। বাড়িতেই চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতোই চলতে হয় তাঁকে। ফলে সবরকম ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই আবার মঞ্চে গিয়ে জনসমাবেশের মাঝে দাঁড়ানোর। তাই বিবৃতি প্রকাশ করেই ইচ্ছাটুকু পূরণ করলেন। এই বার্তাই বামসমর্থক থেকে বাম নেতানেত্রীদের অনেকটা উজ্জীবিত করবে বলে আশা করা যায়। তবে আগামীকাল ব্রিগেডে বাম-কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফের মিলনে ব্রিগেড ঠিক কতটা সাফল্য পেতে চলেছে এবং জনসমাগমও কীরকম হতে চলেছে সেই দিকেই তাঁকিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলিও।