নিউজপিডিয়া ডেস্ক : শুক্রবার ভোরে ভূমিধসে কেরালার ইদুক্কি জেলার রাজাক্কাদে একটি চা বাগানের শ্রমিকদের বসতি ভেঙে যায় এবং জলাবদ্ধতা ও শিলার ধ্বংসাবশেষে আটক হয়ে পনেরো জন লোক মারা যান। এছাড়া প্রায় ৫৩ জন আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কমপক্ষে ১৬ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ইদুক্কির জেলা কালেক্টর এইচ দীনশান। তিনি আরো বলেন যে এলাকায় ভারী বর্ষণ এবং কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া উদ্ধার কাজকে ব্যাহত করছে। তিনি বলেন, সকালে শ্রমিকদের মধ্যে একজন ইরাকিকুলাম জাতীয় উদ্যানের বন কর্মকর্তাদের সতর্ক করার পরে এই ট্র্যাজেডিটি প্রকাশ পায়।
রাজ্যের রাজস্ব রাজস্বমন্ত্রী ই চন্দ্রশেখরন বলেন,”এটি একটি বড় ট্রাজেডি। এটি একটি পার্বত্য অঞ্চল এবং জনপথের সাথে সংযোগ স্থাপনকারী কয়েকটি রাস্তা প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। আহতদের বিমান পরিবহনের জন্য আমরা বিমান বাহিনীর সহায়তা চেয়েছি তবে আমাদের বলা হয়েছিল যে আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতিতে তা সম্ভব নয়। জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনীর (এনডিআরএফ) একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত তিন দিন ধরে এই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং এ কারণে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগের নেটওয়ার্ক ব্যাহত হয়েছে। এর জন্য উদ্ধারকাজও বিলম্ব হচ্ছে। যেহেতু ভোরের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তাই আক্রান্তদের অনেকে গভীর নিদ্রায় ছিল যার কারণে তারা পালাতে পারেনি।
যে স্থানটিতে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেই স্থানটি হিল রিসর্ট মুন্নার থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে যা ২০১৮ সালে বন্যায় বিধ্বস্ত হয়েছিল। পার্থসারথী নামে একজন সামাজিক কর্মী বলে,” আমাদের কাছে তথ্য আছে যে কমপক্ষে ৮৪ জন লোক এই বস্তিতে বাস করত। তাদের বেশিরভাগই প্রতিবেশী তামিলনাড়ু থেকে। এবং বস্তিতে তাদের চাহিদা পূরণের জন্য একটি ক্যান্টিনও ছিল”।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে যে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে এবং শনিবারের মধ্যে তীব্র বৃষ্টিপাতের সূত্রপাত হতে পারে যা রবিবার পর্যন্ত চলবে।এনডিআরএফ এর ছয়টি দলকে ওয়ায়ানাদ ও ইদুক্কিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের আশঙ্কায় অনেক পরিবারকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে সমস্ত ত্রাণ শিবিরগুলিতে কোভিড -১৯ প্রোটোকল কার্যকর থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারই বিজয়ন জনগণকে দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়া ও কোভিড -১৯ এই দুই এররকম পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মানুষকে আরও সচেতন হতে বলেছেন।