উজির আলি, মালদা: বঙ্গে একুশের নির্বাচনের আগে বামেদের সঙ্গে জোটে সায় দিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরিও।২০১৬-র মতো একুশের নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধেই লড়বে কংগ্রেস। তবে বঙ্গে এবার নয়া দলের আগমন। একদিকে আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট ও অন্যদিকে আসাউদ্দীন ওয়াইসির এআইএমআইএম। তাঁরা বঙ্গে কংগ্রেসের সাথে জোট বেধে লড়তে চায়। আব্বাস সিদ্দিকীও কংগ্রেসের কাছে প্রস্তাব রেখেছেন। তবে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে উত্তর না মিললে একাই লড়বে বলে ঘোষনা করেছেন আব্বাস।তবে মালদায় যদি কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা না হয় তবে ৬ টি আসনে লড়বেন বলে জানিয়েছেন আব্বাস। আর সমঝোতা হলে ভাবা হবে।

মালদা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু বাবু) এ ব্যাপারে জানিয়েই দিয়েছেন, যারা ধর্মের নামে রাজনীতি করে তাদের সাথে কংগ্রেস নেই। রবিবার মালদহের চাঁচল-২ নং ব্লক কংগ্রেসের ডাকে মালতিপুরের বুথ ভিত্তিক কর্মীসভায় এমনটাই জানালেন ডালু বাবু। তবে বিষয়টি নিয়ে দলের অন্দরে ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালদা জেলা কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক তথা ফরাক্কার বিধায়ক মাইনুল হক।
মালদা জেলায় কংগ্রেস জোট বাঁধবে কি নয়া দলগুলির সঙ্গে?ধোয়াশা থেকেই যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিগত বিধানসভা নির্বাচনে জেলার ১২ টি আসনের ৯ টিতে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। আটটিতে জয়ী হয়েছিল। তবে গতবার কংগ্রেসে নির্বাচিত রতুয়ার বিধায়ক ও মোথাবাড়ির বিধায়ক শাসকদলে নাম লিখিয়েছেন। সেই আসন গুলিতে প্রার্থী নিয়ে ধোয়াশা তৈরি হয়েছে। বর্তমান কংগ্রেসের বিধায়করাই এবার জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে লড়বে বলে জানিয়েছেন ডালু বাবু।
এদিন মালতিপুরে কংগ্রেসের বুথ ভিত্তিক কর্মীসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন দক্ষিন মালদহের সাংসদ তথা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী, জেলা পর্যবেক্ষক তথা ফারাক্কার বিধায়ক মাইনুল হক, সূজাপুরের বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরী, মানিকচকের বিধায়ক মোত্তাকিম আলম সহ জেলা ও কয়েকটি ব্লকের নেতৃত্বগণ এবং সম্মেলনের পরিচালনা করেন কংগ্রেস নেতা আব্দুর রশিদ।