উজির আলি, মালদা: ঘরের দরজা বন্ধ করে এক মহিলা আইনজীবিকে খুন ও ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যায় মালদহের চাঁচল থানার চন্দ্রপাড়া অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামের ঘটনা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদ্য বিবাহিত ওই মহিলা আইনজীবী শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে এসেছিল। মহিলার বাবার অভিযোগ, “আমরা বাড়িতে ছিলাম না। এক অজানা যুবক ঘরের দরজা বন্ধ করে সোকেসের কাঁচ ভেঙে আমার মেয়ের দেহে গুরুতরভাবে আঘাত করে। তার সাথে ঘরে ছিল ভাইয়ের ছোট্ট শিশু কন্যা। তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। এবং জোড়ালো চিৎকারে ঘরের দরজা ভাঙতে বাধ্য হয় সবাই। দরজা ভাঙতেই দেখা যায়, মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে।গোটা ঘরের মেঝেতে রক্তের স্রোত বইতে থাকে।” এমনকি গলার নালিও কেটে দিয়েছে ওই যুবক বলে অভিযোগ পরিবারের। তার সাথে ধর্ষনের চেষ্টাও চালানো হয়েছে এমনটাই দাবি করা হয়েছে পরিবারের তরফে।গুরুতর আহত অবস্থায় ওই মহিলাকে মালতিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে আশঙ্কাজনক অবস্থা থাকায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করে কর্মরত চিকিৎসকেরা। গ্রামের মানুষ অভিযুক্ত ওই যুবকে আটকে রাখলে চাঁচল থানার পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এবং তাকেও স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে।
মঙ্গলবার গোটা ঘটনা নিয়ে এবং অভিযুক্ত ওই যুবকের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে চাঁচল পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মেয়ের বাবা। চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ জানিয়েছেন ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই যুবক মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা থানার নতুনটোলার বাসিন্দা। প্রেম জনিত কারণেই এই ঘটনা বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।তবে কেন আরেক জেলা থেকে অন্য জেলায় এসে এমন ঘটনা ঘটালো? স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওরা দুজনেই ভাগলপুরে আইনী ডিগ্রী নিয়ে পড়াশুনা করত। তারপরেই মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। আহত অবস্থায় ওই যুবককেও চাঁচল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। যুবকের বয়ানে শোনা গেল, আমাকে সে নিঃস্ব করে দিয়েছে। আমার সাথে খেলা করেছে। আমার জীবন টা নষ্ট করে দিয়েছে।
Nice job