রবিউল হোসেন: উইঘুর সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অনেক আগেই চিনের কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তারই প্রতিশোধ হিসেবে এবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আরোপ দিল চীন। চীনের প্রকাশিত সেই তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলীয় দুই সিনেটর টেড ক্রুজ ও মার্কো রুবিও। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের উপযুক্ত কারণ এখনও জানানো হয়নি চীনের পক্ষে। এছাড়াও আরও যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেশনাল-এক্সিকিউটিভ কমিশনের ক্রিস স্মিথ ও ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের অ্যাম্বাসেডর স্যাম ব্রাউনব্যাক।
বিবিসি জানায়, গত সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা লাগু করা হয়। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুতর হস্তক্ষেপের শামিল, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল নিয়ম-নীতির গুরুতর লঙ্ঘন। এই নিষেধাজ্ঞা চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের মারাত্মক ক্ষতি করছে।’ তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে আরও বিস্তর আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। সেক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে আলোচনা করে তার প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
উল্লেখ্য চীনের জিনজিয়াংয়ের বন্দী শিবিরে প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলমানকে আটকে রেখে প্রতিনিয়ত তাদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে চীন। আর সেই অভিযোগ এনেই যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প সরকার চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির মুখ্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিষেধাজ্ঞায় স্পষ্ট বলা হয়, উক্ত নেতাদের যুক্তরাস্ট্রে অবস্থানরত সকল রখম সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি তাদের যুক্তরাস্ট্রে ভ্রমণের বা অবস্থানের কোনো ভিসা প্রদান করবে না সরকার। আর তার প্রতিউত্তর হিসেবেই বেইজিং এই পাল্টা ব্যবস্থা নিল।