নিউজপিডিয়া ডেস্ক: রামপুরহাটের বগটুইয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ৮ জনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে আসেন রাজ্য সরকার মমতা ব্যানার্জি।তবে মৃতদের পরিবারের অভিযোগে বারবার আনারুল ইসলামের নাম উঠে আসায় আনারুলের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় মুখ্যমন্ত্রী। কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করলো পুলিশ।
এদিন বগটুই থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মাত্রই বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক সরকারের নেতৃত্বে রামপুরহাটের রামরামপুরে আনারুল হোসেনের বাড়িতে পৌঁছে যান পুলিশ। এরপরই বাড়ির মহিলাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ও প্রত্যেকটি ঘরের তল্লাশি চালিয়েও কোন হদিস মেলেনি তার। তবে বাড়িতে না থাকলেও তারাপীঠ থেকে আনারুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতেই আনারুল হোসেন জানিয়েছেন, ‘যেদিন ঘটনাটি ঘটেছে সেই সময় আমি হাসপাতালে ছিলাম। পুলিশ চাইলে সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে পারে। এই বিষয়ে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথা ……বলবো’।
উল্লেখ্য, রামপুরহাট ১ নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি আনারুল। সোমবার রাতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কোনওক্রমে বেঁচে যাওয়া বাসিন্দা মিহিলাল শেখ অভিযোগ তুলেছেন, আনারুলের নেতৃত্বেই সেই রাতে গ্রামে হামলা চলেছিল। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সামনে সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ফের আনারুলের নাম উঠতেই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে আনারুলের অবর্তমানে ব্লক সভাপতির জায়গায় রামপুরহাট ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ সিরাজ জিম্মিকে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।