উজির আলি, মালদা: রাজ্যে প্রথম দফার ভোটের পরেই জোর কদমে কর্মীদের নিয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়লেন মালদহের চাঁচল বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী দীপঙ্কর রাম। রবিবাসরীয় প্রচারে কর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল চোখের পড়াত মতো। প্রার্থীর পায়ে পাল্লা দিতে কর্মীদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে এদিন।
রবিবার চাঁচল বিধানসভার কলিগ্রাম অঞ্চলে প্রচার চলে সারাদিন। প্রথমে ওই পঞ্চায়েত এলাকার চন্ডীগাছি কালি মন্দিরে পূজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন প্রার্থী। এরপর থাহাঘাটি, রামনগর, ভগবতীপুর, কলিগ্রামে প্রখর রৌদ্রের মধ্যে চলে প্রচার। তার ফাঁকে দলীয় কর্মীর বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজন সাড়ে প্রার্থী সহ শতাধিক কর্মীরা।
বিজেপি প্রার্থী দীপঙ্কর রাম দাবি করে বলেন, আমি ভূমিপুত্র প্রার্থী হয়েছি চাঁচলের। তাই ভোট প্রচারে গিয়ে দেখি গ্রামের মানুষ আমাকে দেখে পুস্প বৃষ্টি শুরু করছেন।কেউকেউ মুখ মিষ্টি করার জন্য প্লেট হাতে তুলে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, এতে সাফ বোঝা যাচ্ছে, চাঁচলের মানুষ ভূমি পুত্রকেই চায়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে তিনি এই চাঁচল বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে তিনি হেরে যান। পরাজয় ভেবে বসে থাকেন নি তিনি। তিনি নিজে একজন জ্বালানি গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটর। উজ্জলা যোজনার গ্যাস না পেলেও প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে একাধিক দুস্থ গৃহিনীদের সিলিন্ডার বিলি করেছেন।
জয় হোক বা পরাজয় মানুষের পাশে তিনি সর্বদা থেকেছেন এবং থাকবেন বলে আশাবাদী তিনি। বিজেপি প্রার্থী আরোও বলেন,বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে। চাঁচল এলাকার বহু শ্রমিক ভিনরাজ্যে ছুটছে। এখানে একটা বিকল্প পদ্ধিতে কিছু করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এদিন ভোট প্রচারে সামিল হয়েছিলেন বিজেপি নেতা, রতন দাস, রোহন পান্ডে, বিবেক দাস, অয়ন দাস, অনন্দিতা প্রামানিক, চাঁচল-১ নং বিজেপির মন্ডল সভাপতি প্রশান্ত পাল সহ শতাধিক বিজেপি নেতা কর্মীরা।
বিজেপি সূত্রের খবর এদিন মতিহারপূর অঞ্চলেও সন্ধ্যাকালীন প্রচার চলবে। রবিবার ছিল,দোল উৎসব ও সবেবরাত। দুই সম্প্রদায় শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী দীপঙ্কর রাম।