
নিজস্ব সংবাদদাতা: লকডাউন শুরু হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ‘শিশুরা যেন খাবার থেকে বঞ্চিত না হয়।’ সেই মতো জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরু হয় চাল,আলু, দল বিতরণের কাজ।
মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ বাস্তবায়িত করতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে উচ্চ বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসাগুলিতে এই কাজ চলছে। করোনা সংক্রমণের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শ্রেণিভিত্তিক খাদ্য সামগ্রী বিতরণের কাজ চলবে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত। এর আওতায় প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীদের খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে আসছে অভিযোগ। রঘুনাথগঞ্জের খড়িবোনার একটি আইসিডিএস কেন্দ্র, নবগ্রামের খোঁজারডাঙ্গা আইসিডিএস কেন্দ্র, ডোমকলের জুগিন্দা অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্র, ভগবানগোলা ১ ব্লকের কালিকামারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ইত্যাদি শিক্ষাকেন্দ্র গুলিতে খাদ্য সামগ্রী পরিমাণে কম তো কোথাও নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক নুরুল ইসলামকে খাদ্যসামগ্রী কম দেওয়ার কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভগবানগোলা থানায় গতকাল ডেকে পাঠানো হয়। খাদ্য সামগ্রী বিতরণের প্রসঙ্গে হরিপুর ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মোঃ তহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,'লকডাউনে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করছি। জরুরিকালীন সময়ে আগামীতেও কাজ করে যাব। তিনি আরও জানান, প্রথমবার ২ কেজি করে চাল, আলু দেওয়া হলেও এবার তা বৃদ্ধি হয়ে ৩ কেজি করে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।'