
দি থার্ড আই ডেস্ক : মুম্বাই-এর ওয়কহার্ড হসপিটালে ৩০ টির বেশি করোনা পজিটিভ রিপোর্ট চিহ্নিত হয়েছে, যা শহরের অনেক ওয়ার্ডের সংখ্যার থেকে অনেক বেশি। তথ্যঅনুযায়ী কেবলমাত্র জি সাউথ এবং ডি ওয়ার্ড এ ৩০ জনেরও বেশি আক্রান্ত ।
ওয়কহার্ড হাসপাতালে শেষ এক সপ্তাহে ২৬ নার্স ও ৩ ডক্টর করোনা আক্রান্ত হয়, এরপরে বৃহনমুম্বাই পৌর করপোরেশন (বি এম সি) একে সংক্রমিত এলাকা ঘোষিত করে ।
এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন হসপিটালে কাউকে প্রবেশ ও প্রস্থানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে যতক্ষণ না সমস্ত রোগীর টেস্ট পর পর দুবার নেগেটিভ না আসে ।
“এটা বড় দুর্ভাগ্যজনক যে এক হসপিটাল থেকে এত বড় সংখ্যায় সংক্রমণ ঘটেছে, তাদের যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ছিল”, বলেন অতিরিক্ত পৌর কমিশনার সুরেশ কাকানি। তিনি আরো বলেন নির্বাহী স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে , হাসপাতাল চত্বরে কিভাবে এতগুলো লোকের মাঝে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ল সেটা দেখার জন্য।
যেসব নার্সদের কভিড ১৯ পজিটিভ এসেছে তাদের কে হসপিটাল কোয়ার্টার থেকে ভিলে পার্লে তে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। দুজন আক্রান্ত ডক্টর কে ভর্তি করা হয়েছে সেভেন হিলস্ এ এবং অন্যজনকে রাহেজা হসপিটাল, মহিম এ ভর্তি করা হয়েছে।
২৭০ জনেরও বেশি কর্মচারী ও কিছু রোগীর স্যাম্পল টেস্ট এর জন্য পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতাল ক্যান্টিন কার্যত খোলা রয়েছে, হাসপাতাল কর্মী ও রোগীদের খবর সংগ্রহের জন্য। একজন কর্মকর্তা ও দুজন কনস্টেবলকে নিয়োগ করা হয়েছে সেখানে অযাচিত চলাচল বন্ধ রাখার জন্য, জানিয়েছেন সবলারাম আগরওয়াল, অগ্নিপদ থানার উর্ধ্বতন পরিদর্শক।
সংক্রমিত রোগটি প্রথম ধরা পড়ে বছর ৭০ এর হৃদ রোগ আক্রান্ত এক বৃদ্ধের থেকে , সেখান থেকে তার সাহচর্যে আশা দুই নার্স এর টেস্ট পজিটিভ আসে । এরপর একে একে বাকি নার্স দের টেস্ট পজিটিভ আসতে শুরু করে।
হাসপাতালের কর্মীদের অভিযোগ সংক্রমিত নার্স দের সহকর্মী ও রুমমেট দের থেকে আলাদা রাখার ব্যাবস্থা করতে না পারায় সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সংগঠিত নার্স অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নার্সদের সংক্রমণ এর লক্ষণ গুলো প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত তাদের পরীক্ষা ও পৃথক থাকার ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়নি , এবং সন্দেহভাজন আক্রান্ত রোগীর সেবায় থাকলেও তাদের পিপিই দেওয়া হয়নি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ।