সোমনাথ দত্ত, মালবাজার: পরিকাঠামো গত ত্রুটির কারণেই করোনা পরিস্থিতিতে জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য পরিসেবা সেভাবে পাচ্ছেন না। সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা না পেয়ে ভুগতে হচ্ছে জেলার সাধারণ মানুষকে। বৃহস্পতিবার মালবাজার শহরে এসে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পরিদর্শন করে এমনই কথা সাংবাদিকদের জানালেন জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত রায়। বৃহস্পতিবার সকালে সাংসদ মালবাজার শহরে এসে মালবাজার পৌরসভার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, হাসপাতাল ও বিডিও অফিস পরিদর্শন করেন। তার এই পরিদর্শনকালে সঙ্গী ছিলেন ছিলেন বিজেপির মালবাজার টাউন মন্ডলের সভাপতি দেবাশীষ পাল সহ অন্যান্যরা।
পরিদর্শন শেষে সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত রায় মালবাজার থানার সামনে এক সাংবাদিক সন্মেলন করে অভিযোগ করে বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলায় পরিকাঠামোগত ত্রুটির জন্যই কোভিড পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছেন না। বিশ্ববাংলা কোভিড হাসপাতালে রোগীদের পথ্য বা খাবার ঠিক মতন প্রদান করা হয়না। মালবাজার হাসপাতালে একটি কোভিড চিকিৎসার ইউনিট গঠিত হয়েছে। প্রথমে কথা ছিল ২৪ টি সাধারণ শয্যা ও ১৬টি আইসিইউ শয্যা থাকবে। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সেখানে ৩০টি শয্যা আছে। একটি ভেন্টিলেশনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। একই ওয়ার্ডে মহিলা ও পুরুষ রোগীদের রেখে চিকিৎসা চলছে। এতে মহিলা রোগীদের শৌচকাজ করতে যেতে সমস্যা হচ্ছে। কোনোরকম প্রাইভেসি থাকছে না। এছাড়া টিকাকরনও সঠিক ভাবে করা হচ্ছে না। অনেকেই প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ সময় মতো পাচ্ছে না। এছাড়াও র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট স্বাভাবিক গতিতে করা হয়ে হচ্ছেনা। যার ফলে চাবাগান ও গ্রামাঞ্চলের বহু সংক্রামিত রোগী এদিক ওদিক ওষুধ খেয়ে ঘুরে বেরাচ্ছেন। এতে ক্রমশ সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকছে। পার্শবর্তী আসাম রাজ্যের জনসংখ্যা পশ্চিমবঙ্গের প্রায় অর্ধেক হলেও সেখানে আমাদের রাজ্যের চাইতে দ্বিগুণ সংখ্যক টেস্ট হয়েছে”।
এদিন সাংসদ আরও বলেন সঠিক পরিকল্পনা না করার ফলেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিসেবা মানুষের কাছে সময় মতো পৌঁছনো যাচ্ছে না। যদিও সাংসদ স্বীকার করেন যে হাসপাতালের সুপারের সাথে তার দেখা হয়নি। সাংসদের অভিযোগ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে, মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ডাঃ সুরজিৎ সেন বলেন,” অভিযোগ ঠিক নয়,স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে আমাদের যা পরিকাঠামো ছিল তারমধ্যেই আমরা কোভিড ইউনিট চালু করেছি। ধীরে ধীরে প্রতিস্থিতির উন্নতিসাধনের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। সংক্রামিতদের পরিসেবা দেওয়া হচ্ছে। মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরছেন। সাথে টিকাকরনের বিষয়ে কেন্দ্র থেকে টিকার চাহিদার তুলনায় কম এসেছে। তারমধ্যে দিয়েই আমরা সমস্ত মানুষকে টিকাকরনের আওতায় আনবার প্রচেষ্টা করে চলেছি। র্যাপিড এন্টিজেন বা আরটিপিসিআর পরীক্ষাও নিয়মিত করা হচ্ছে”।