নিউজপিডিয়া ডেস্ক: আবারও অমানবিকতার সাক্ষী থাকল দেশ। সেই অমানবিকতার শিকার একজন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকারী চিকিৎসক। করোনা আক্রান্তদের সেবা করতে করতে নিজেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে গেছেন। আর সেই চিকিৎসকের ঠাঁই হল না কোন বেসরকারি হাসপাতালে! শেষ পর্যন্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঠাঁই মিললেও বৃহস্পতিবার মারা গেলেন ৫০ বছর বয়েসি বেঙ্গালুরুর মঞ্জুনাথ এস টি নামের ওই চিকিসক।
জানা গেছে, কর্নাটকের রামনগর জেলার কনকপুরা তালুকের চিক্কামুদাভাডি প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রে পরিষেবা দিতে গিয়ে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার সকালে বেঙ্গালুরু মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে মৃত ওই চিকিৎসকের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না থাকায় তাঁকে প্রথম হাসপাতালটি ভর্তি নিতে অস্বীকার করে। দ্বিতীয় হাসপাতালে গেলে প্রথম হাসপাতালে ভর্তি না নেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়।তারপরেও তারাও ভর্তি নেয়নি। এরপর তৃতীয় হাসপাতালে গেলে তারাও প্রত্যাখ্যান করে। উল্লেখ্য যে, হাসপাতাল তিনটিই ছিল বেসরকারি। এমতাবস্থায় হতাশ হয়ে ওই চিকিৎসক রাস্তার উপরেই বসে পড়েন সহকর্মীদের সঙ্গে।
এতকিছুর পরে ২৫ জুন তাঁকে বেঙ্গালুরুর এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব হয়। সেখানে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলেও পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। সেই কারণে গত ৯ জুলাই তাঁকে বেঙ্গালুরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সেখানে ওই চিকিৎসককে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার তাঁর লড়াইয়ের গতি স্তব্ধ হয়ে যায়।
মৃত ওই চিকিৎসকের সহকর্মী এক চিকিৎসক নগেন্দ্র রাও বলেন, ‘আমরা চিকিৎসক বলেই আমাদের সঙ্গে আমাদের পরিবারকেও ভুগতে হচ্ছে। এর চেয়ে শ্রমিক হওয়া ভালো ছিল।’
প্রসঙ্গত, মৃত ওই চিকিৎসকের পরিবারের আরও ৬ সদস্যের নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ আসে। তার মধ্যে চিকিৎসকের ডেন্টিস্ট স্ত্রী ও ১৪ বছরের ছেলেও রয়েছে।