
কলকাতা, ১ জুন: করোনা আবহে আমফান তার ক্ষমতা জাহির করেছে বাংলা, ওড়িশায়। আমফানের পর ‘নিসর্গ’ ঝড়ের আগমনী বার্তা জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। আগামী বুধবার সন্ধ্যা অথবা রাত নাগাদ উত্তর মহারাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাত উপকূলের মধ্য দিয়ে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’, এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতীয় মৌসম ভবন।
সোমবার সকালের হাওয়া ভবনের সংবাদে জানা গেছে, পূর্ব-মধ্য ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরের উপর ইতিমধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ‘নিসর্গ’। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ‘নিসর্গ’ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম মুম্বইয়ের প্রায় ৭০০ কিলোমিটার এবং সুরাতের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ৯২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। পরবর্তী ৩৬ ঘণ্টায় সেটি পূর্ব-মধ্য আরব সাগরের উপর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সেটি উত্তরদিকে গিয়েও পরবর্তীতে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে ঘুরে আগামী বুধবার সন্ধ্যা অথবা রাত নাগাদ উত্তর মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলায় এবং দক্ষিণ গুজরাত উপকূল এবং দমনের মধ্য দিয়ে স্থলভূমিতে প্রবেশ করবে ‘নিসর্গ’।
স্থলভূমিতে প্রবেশের সময় ‘নিসর্গ’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র উপকূলে ঘণ্টায় ঝড়ের গতিবেগ ১০৫ থেকে ১১৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গতিবেগ বেড়ে ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটারে পৌঁছতে পারে। তবে গুজরাত উপকূলে ঝড়ের বেগ তুলনামূলক কম থাকলেও সেঞ্চুরিও ছুঁয়ে ফেলার ইঙ্গিত হাওয়া ভবনের। সেইসঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কঙ্কন, গোয়া, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ইতিমধ্যে ‘নির্সগ’-এর জেরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের কেরালা উপকূল, দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর এবং লাক্ষাদ্বীপ দিয়ে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অপরদিকে গুজরাত এবং মহারাষ্ট্র উপকূলেও মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।