ওহিদ রেহমান: ১৯৩৫ সালে স্থাপিত ধুলিয়ান হাই মাদ্রাসা। এই মাদ্রাসা থেকে এবারের হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় শীর্ষ স্থান দখল করেছে কন্যাশ্রী দীপ্তি দাস। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৬২। ৮৫ বছরের প্রাচীন এই মাদ্রাসার ইতিহাসে এই ঘটনা প্রথমবার। স্বভাবতই উচ্ছাসিত মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মী থেকে এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।
বিড়ি শ্রমিক পরিবারের কন্যা দীপ্তি দাস। মাদ্রাসায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে, স্বভাবতই উচ্ছাসিত সে এবং তাঁর পরিবার। টেলিফোনের অন্যপ্রান্ত থেকে সে বলছিল, “বাড়তি একটি বিষয় (আরবী) ছাড়া, হাই মাদ্রাসা বোর্ডের সিলেবাস মাধ্যমিক সমমানের। ফলে, পড়াশোনা নিয়ে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি। তাছাড়া, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা সব সময় আমাকে সহযোগিতা করেছেন।” তবে, দীপ্তির কন্ঠে আক্ষেপ, ভূগোল বিষয়ে সে আশানুরূপ নম্বর পায়নি। আগামীতে সে ধুলিয়ান হাই মাদ্রাসা থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা করতে চায়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাইজিদ হোসেন মহাশয়, টেলিফোনের অপর প্রান্তে ধরা দিলেন একরাশ আত্মসন্তুষ্টি নিয়ে। তিনি আবেগমথিত কন্ঠে বলছিলেন মাদ্রাসার বর্তমান বৃত্তান্ত। তিনি বলছিলেন, “ধুলিয়ান হাই মাদ্রাসা পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম মাদ্রাসা। এখানে সহশিক্ষা মাধ্যমে পড়াশোনা হয়ে থাকে। এখানে প্রায় ৬ হাজার ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করে এবং প্রতিটি শ্রেনীতেই রয়েছে একাধিক অমুসলিম ছাত্র ছাত্রী। তাঁর কথায়, মাদ্রাসায় দীপ্তির শীর্ষ স্হান পাওয়া, প্রচলিত অনেক অযৌক্তিক মিথ ভেঙ্গেছে।”
ছবিতে দীপ্তি দাসের হাতে উপহার তুলে দিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাইজিদ হোসেন, সঙ্গে রয়েছেন শিক্ষক নাসিম রেজা এবং হায়দার হাসান।