অশোক মিত্র: ধূপগুড়ি: কাকে কোন দলে টানতে পারে,দল বদলের পর ফের দল বদল! এই দল বদলকে কেন্দ্র করে ধূপগুড়ির গাদং এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে ! একদিকে বিজেপির সমর্থকরা যখন দলীয় যোগদান সভা করেন,সেসময় বিজেপির সভা স্থলের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালী রায়ের নেতৃত্বে দলীয় যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গত ২৫ তারিখ ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কথাপাড়া এলাকার বিজেপি কর্মী মেহের আলী সহ চারটি পরিবার ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালী রায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তবে তৃণমূলে যোগদানের ৬ দিনের মাথায় মোহভঙ্গ হল তার, শুক্রবার বিজেপির দলীয় কর্মীসভায় আবার নতুন করে বিজেপিতে যোগ দিলেন মেহের। সেই সঙ্গে আরও ১৭ টি পরিবার তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছে বলে দাবি বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি রসিদুল আলমের।
বিজেপিতে যোগদান করে মেহের আলী অভিযোগ করে বলেন, “আমরা এক চক্রান্তে ফেঁসে গিয়েছিলাম। তৃণমূল কর্মীরা আমাদের বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আমরা এইসব প্রতিশ্রুতি পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করি।কিন্তু আমি তৃণমূল কংগ্রেসের পরিকল্পনা বুঝতে পেরেছি, তাই আবার বিজেপিতে ফিরে আসলাম।”
অন্যদিকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তৃনমূল কংগ্রেসের সভাতে বিধায়ক মিতালী রায়ের উপস্থিতিতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করল ২১টি পরিবার। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিধায়ক মিতালী রায়। বিধায়ক মিতালি রায় জানান, শুক্রবার ২১টি পরিবার আমাদের দলীয় নেতা ভুবনেশ্বর রায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছে। অন্যদিকে বিভিন্ন ভাবে সাধারণ মানুষকে ফুঁসলিয়ে জোরপূর্বক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপির সংখ্যালঘু নেতা রসিদুল আলম। যদিও তৃনমূল কংগ্রেসের তরফে রসিদুল আলমের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ।