অশোক মিত্র, ধূপগুড়ি: রাখি বন্ধন উৎসবে ভাই-বোন কে রক্ষার প্রতিশ্রুতি ও কল্যাণ কামনায় পরিয়ে থাকেন।তবে রাখি শুধু ভাই বোনের মধ্যে আবদ্ধ থাকেনি কোন কালেই। সম্প্রীতির ভালোবাসার তাগিদেই আবিষ্কৃত হয়েছিল রাখি বন্ধন উৎসব।
বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন রদ করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,বাঙালির ঐক্যের দিন হিসেবে একে অপরের হাতে হলুদ সুতো বেঁধে উদযাপিত করেছিলেন দিনটিকে।তারপর থেকেই এই বিশেষ দিনটিকে রাখি বন্ধনের দিন হিসেবে পালন করার ডাক দেন বিশ্বকবি।প্রতিবছর দেশজুড়ে পালিত হয় রাখি বন্ধন উৎসব, কিন্তু এবারের রাখি বন্ধন যেন বন্ধন মুক্ত।রাখিতে থাবা বসিয়েছে করোনা,ভাটা পড়েছে দোকানে সাজিয়ে রাখা রাখির থাক।ধুলো জমতে শুরু করেছে রাখির গায়ে। দুদিন পর রাখি বন্ধন উৎসব কিন্তু বিক্রি নেই দোকানে।এতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ধূপগুড়ির চুড়িপট্টির একাধিক ব্যবসায়ীর।প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী মিঠুন সাহা আক্ষেপের সুরে বলেন,”প্রতিবছর কয়েক হাজার টাকার রাখি বিক্রি করি,কিন্তু এবছর করোনা ভাইরাসের কারণে কেউ রাখি নিতে আসছে না”।
আরেক রাখি বিক্রেতা বলেন, “মূলত রাখি বন্ধন উৎসবের আগের দু-তিনদিন বিক্রি ভালো হয়। কিন্তু এবার সেই আশাও মাটি। ধূপগুড়ি তে যেভাবে করোনা সংক্রমনের হদিস পাওয়া যাচ্ছে, এই এক দু দিনে লোক বাইরে বের হবে কিনা সন্দেহ আছে”।গোটা দেশের এই কঠিন সময়ে রাখি বন্ধন উৎসব হয়ে উঠুক একে অপরের শক্তির মেরুদন্ড। ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার আরেক শক্তি হয়ে উঠুক রাখিবন্ধন উৎসব।