মোস্তাফিজুর রহমান, ৩০শে জুলাই: গত ২৮-০৭-২০২০ তারিখ, মঙ্গলবার, ক্রীড়া মন্ত্রকের সভায় একটি প্রসঙ্গ ওঠে, মহামেডান আগস্টের ৫ তারিখে অনুশীলনে নামতে চায়। কেননা এআইএফএফ থেকে মেল করে জানানো হয়, ১৫ সেপ্টেম্বর নাগাদ দ্বিতীয় ডিভিসন আই লিগের খেলা শুরু হবে।

তাই মহামেডান সচিব নিজেদের মাঠে অনুশীনের অনুমতি চেয়ে মেইল করেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখার্জীকে।
কিন্তু এদিনের সভায় মহামেডানের অনুশীলনের প্রসঙ্গ উঠতেই, তা নাকচ করে দেন ইস্টবেঙ্গল সহ সচিব ডঃ শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত।
বিতর্কের সুত্রপাত এটা নিয়েই। সোশ্যাল মিডিয়ায় মহামেডান সমর্থকরা শান্তি বাবুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। আগুনে ঘৃতাহুতির মতো ইস্ট-মোহন সমর্থকরাও শান্তি বাবুর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।
তবে এদিন শান্তিরঞ্জনের পক্ষ নিয়ে কিছু সংখ্যক মানুষ বলেন, শান্তি বাবু একজন ডাক্তার। তিনি ডাক্তারি দৃষ্টিভঙ্গিতে কথা গুলো বলেছেন। এতে ভুলের কিছু নেই। এদের আরও দাবি,
শান্তি বাবু স্পোর্টস কাউন্সিলের প্রতিনিধি হিসাবে গেছিলেন, তাই তিনি এই মন্তব্য করতেই পারেন।
এই নিয়ে মহামেডান সচিব ওয়াসিম আক্রামকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, শান্তি বাবু একজন চিকিৎসক।ওনার চিকিৎসক সত্বাকে সম্মান করি এবং উনি যদি একজন চিকিৎসকের দৃষ্টিভঙ্গিতে মহামেডান স্পোর্টিংয়ের অনুশীলনটাকে ক্ষতিকর দিক বলে মনে করেন তাতে আমার আপত্তি নেই।
ওয়াসিম আক্রাম আরও বলেন, শান্তিরঞ্জন বাবু শুধু ডাক্তার নয়, স্পোর্টস কাউন্সিলের সদস্যও বটে। তাই তার মত ব্যক্ত করার স্বাধীনতা আছে।
কিন্তু, আমার প্রশ্ন অন্য জায়গায়। উনি যদি চিকিৎসকের দৃষ্টিভঙ্গিতেই বলবেন, তাহলে ৫০ জনকে বন্ধ ঘরে মিটিং কি করে করলেন? যেখানে তিনি ২০-২২ জন খেলোয়াড়ের অনুশীলনের অনুমতি প্রদানে বাঁধা দিলেন?
শান্তিরঞ্জন বাবু যদি এতই সমাজ সচেতন হন, তাহলে উনি ক্রীড়া মন্ত্রীকে বলতে পারতেন অনলাইনে মিটিং আয়োজনের জন্য।
যেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন!
এছাড়াও ওনাদের মাঠেই করোনা সংক্রমনের প্রাথমিক দিকে ট্রায়ালের চিত্র আপানারা দেখেছেন। যদি উনি সত্যিই চিকিৎসকের দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপারটা দেখতেন, তাহলে এই দ্বিচারিতা কেন।
যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া বা বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
তবে, আগামী ৪ ই আগস্ট মহামেডান কর্তাদের সাথে আলোচনায় বসার কথা ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের। সবাই তাকিয়ে সেই সভার দিকে।