বাপি আকুঞ্জি, মালঞ্চ: মিনাখাঁ থানার অন্তর্গত জয়গ্রাম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী আলিয়া মন্ডল। আর পাঁচটা স্কুল ছাত্রীর মতোই বই নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা তার। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই কারণ শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ ক্যান্সার। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আলিয়া মন্ডলের পিতা আব্দুল হাই মন্ডল ছয় বছর আগে একই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তখন থেকে আলিয়া মন্ডলের দায়িত্ব নেয় আলিয়া মন্ডলের মামা খোকন মোল্লা।
আলিয়া মন্ডলের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার এনায়েতপুর থানার অন্তর্গত মিরপুর গ্রামে। কিন্তু তার পিতার মৃত্যুর পর তার মামা খোকন মোল্লা নিজ বাড়িতে অর্থাৎ মালঞ্চ নিয়ে আসে। এখান থেকে চলছিল আলিয়া মন্ডলের শিক্ষা। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস চিত্তরঞ্জন নীলরতন ও পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা করার পর আলিয়া মন্ডলের দেহে ধরা পড়ে ব্লাড ক্যান্সার। কিন্তু লকডাউন- এর বাজারে কোন হাসপাতাল সুচিকিৎসার দায়িত্ব নিল না।
নিরুপায় হয়ে আলিয়া মন্ডল কে নিয়ে যাওয়া হল রাজারহাটের টাটা হসপিটালে। সেখানেও নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে প্রায় এক লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, রাজারহাটের টাটা হসপিটালের ডা: দেবজানি ঘোষ জানিয়েছেন, “আলিয়া মন্ডলের ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য প্রথমে ভর্তি ফি হিসেবে দুই লক্ষ টাকা দিতে হবে। তারপর আরও চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।” কিন্তু আলিয়া মন্ডলের মায়ের পক্ষে এত টাকা খরচ করা সম্পূর্ণ অসম্ভব। তাই আলিয়া মন্ডলের মা সমস্ত স্বেচ্ছাসেবী দাতা ও নেতা-নেত্রীদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন অশ্রুসিক্ত নয়নে। আলিয়ার মা বলেন , সুন্দরবনের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘নব দিগন্ত’ তাদের কিছুটা আর্থিক সাহায্য করেছে। কিন্তু দরকার আরও অর্থ।
আলিয়ার মামা বলেন, “টাকার অভাবে রাজারহাট হসপিটালে ভর্তি না করিয়ে পাক সার্কাস আই সি এস হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে আলিয়াকে। বর্তমানে সে আইসিইউ তে আছে।” জানা যায়, এখানেও প্রায় এই পর্যন্ত তিন লক্ষ টাকার অধিক খরচা হয়েছে তাদের। কিন্তু এখনও বহু অর্থের দরকার। তাই তিনি সকলের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করছেন। কোনো সহৃদয় ব্যক্তি আলিয়াকে সাহায্য করতে চাইলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মারফত সাহায্য করতে পারেন-
Bank details
Acount holder-ROWSANARA BIBI
Branch-MALANCHA
Bank acount-412910110014089
IFSC Code-BKID0004129