সোমনাথ দত্ত, মালবাজার: দীর্ঘ খোঁজের পর অবশেষে সোমবার দুপুরে উদ্ধার হলো মূর্তি নদীতে ভেসে যাওয়া জলঢাকা থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার রাজীব তামাংয়ের দেহ। এদিন মৃতদেহটি উদ্ধার করল টিআরআরসি’ র উদ্ধারকারী দল। যদিও এন ডি আর এফ টিমও রবিবার ও সোমবার তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছিলো। সোমবার কুমাই এলাকায় পাথরের খাঁচে আটকে থাকা অবস্থায় তার দেহটি উদ্ধার হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের রকি আইল্যান্ড এলাকায় মুর্তি নদীর জলস্রোতে ১৭ বছরের এক কিশোরী ভেসে যায়। সেই কিশোরীর খোঁজে শুক্রবার জলঢাকা থানার পুলিশ ও এসএসবি জোয়ানরা যৌথ ভাবে তল্লাশি অভিযানে নামে। এই তল্লাশি কাজে নিযুক্ত থাকা সিভিক ভলেন্টিয়ার রাজীব তামাং হটাৎ করেই মুর্তি নদীর প্রবল জলস্রোতে ভেসে যায়।আর এই ভেসে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এরপর দুইজনের খোঁজ শুরু হলে শুক্রবার বিকালে মেটেলি থানার পুলিশ মেয়েটির দেহ কিলকোট চাবাগান সংলগ্ন মুর্তি নদী থেকে উদ্ধার করলেও, সিভিক ভলান্টিয়ার এর খোঁজ পাওয়া যায়নি। শুক্রবার বিকালে ঘটনাস্থলে পৌছায় টিআরআরসি’ র উদ্ধারকারী দল। তারা লাইফ বোট নিয়ে নদীর বুকে খোঁজ শুরু করে। শনিবার দিনভর প্রবল বর্ষনের মধ্যেও তাদের অভিযান চালিয়ে যায় ওই উদ্ধারকারী দলটি।
রবিবার তল্লাশিতে নামে এন ডি আর এফ দল। রবিবার নদীর উজান থেকে রামসাই এলাকা পর্যন্ত তল্লাশি চালানো হলেও সিভিক ভলান্টিয়ার এর খোঁজ অধরা থেকে যায়। সোমবার বৃষ্টি না থাকায় সকাল থেকেই দুই উদ্ধারকারী দল নদীর মধ্যে তল্লাশি শুরু করে। দুপুর আড়াইটা নাগাদ রেল ব্রিজের খানিকটা উজানে কুমাই এলাকায় ভেসে যাওয়া সিভিক ভলান্টিয়ার এর দেহ উদ্ধার হয়। আর এতে স্বস্তি ফিরে আসে উদ্ধারকারী দল, পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। শান্তি রাইয়ের প্রচেষ্টায় তৈরি হয় তিস্তা রঙ্গিত রেসকিউ সেন্টার। এই দল প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে নিখোঁজ হওয়াদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালায়। আজও তারা তাদের চেষ্টায় সাফল্য পেল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।