নিউজপিডিয়া ডেস্ক : মাদক বিক্রির অর্থ দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের নাশকতাকারীদের অর্থায়ন করা হয় বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ১৯ জুন পাকিস্তান ঘেঁষা ভারতের পাঞ্জাবের ওয়াগাহ-আতারি সীমান্তে ৫৩২ কেজির হেরোইনের একটি চালান বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেটি তদন্ত করতে গিয়েই এমন তথ্য পেয়েছে আইন সেনাবাহিনী।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সময় মাদক চোরাচালানের ঘটনায় গুরপিন্দার সিং নামের একজনকে আটক করা হয়। ওই ব্যক্তি অমৃতসরের কানিক্ষ এন্টারপ্রাইজের মালিক। এছাড়া তারিক আহমেদ লোন নামের আরেক জনকেও জম্মু -কাশ্মীর থেকে তখন আটক করা হয়। ওই হেরোইন জব্দের পর জুলাই মাসে এই ঘটনায় আলাদা দুটি মামলা করে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। পাশপাশিও এই চোরাচালানের সঙ্গে মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা শুরু করে সেনাবাহিনী। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলেও দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, জম্মু-কাশ্মীর থেকে আটক হওয়ার তারিক লোন ছয় বছর বয়সে তার বাবাকে হারান। সন্ত্রাসীরা তার বাবাকে হত্যা করে । পরে কাশ্মীরে শাল বিক্রি শুরু করে তারিক লোন। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় চাচা ফারুক লোনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারিক লোন। পরে পাকিস্তানে গিয়ে প্রায় দুই সপ্তাহের মত ফারুক লোনের বাড়িতে ছিলেন তারিক লোন। তখন থেকেই ফারুক লোনের হয়ে কাজ শুরু করেন তারিক। সাহিল নামের পাকিস্তানের এক নাগরিকের সহায়তায় ভারতে চোরাচালানের কাজ শুরু করেন তিনি।
জানা গেছে, পাকিস্তানভিত্তিক কোম্পানি ভিশন ইম্পেক্সের পক্ষ থেকেই ভারতে ওই সব মাদক পাচার করতো ওই নেটওয়ার্ক। এমন মাদক চোরাচালানের জন্য তারিক তার বন্ধু, আত্মীয় এবং কিছু ব্যাংক কর্মকর্তার ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করতেন। ২০১৯ সালে মাদক চোরাচালানের জন্য কানিক্ষ এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারিক। তবে কানিক্ষ এন্টারপ্রাইজের কাছে দেওয়ার পরই ওই চোরাচালান ধরা পড়ে।
ওই ঘটনায় আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ অভিযুক্ত হলেন হিলাল আহমাদ ওয়াগায়। এই বছরের এপ্রিলে পাঞ্জাব পুলিশ তাকে ২৯ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে জানা যায়, জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার রিয়াজ আহমাদ নাইকোর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। রিয়াজ আহমাদ নাইকো সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ইতিমধ্যে নিহত হয়েছেন।