
দ্য থার্ড আই ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভোর ৩’টে নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম জেলার একটি রাসায়নিক কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস লিক হয়ে দুই জন মহিলা ও এক শিশুসহ কমপক্ষে আটজন মারা গেছেন। ৫০০০ এরও অধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, মারা গেছে কিছু গবাদি পশু। গোপালাপট্টনামের ‘এলজি পলিমারস লিমিটেড’ কারখানায় যখন দুর্ঘটনাটি ঘটে তখন পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসী ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। এলজি পলিমার সংস্থাটি ৪০ দিনেরও অধিক সময় বন্ধ থাকার পরে বৃহস্পতিবার থেকেই প্ল্যান্টটি পুনরায় চালু করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
বিষাক্ত গ্যাসের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিলেন, এবং অনেকে রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সহকারী পুলিশ কমিশনার স্বরূপা রানী বলেন, শিশু এবং বৃদ্ধ সহ প্রচুর সংখ্যক লোক তাদের বাড়ির ভিতরেই অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। আশেপাশের প্রায় ২০টি গ্রামে গ্যাসের ক্ষতিকর দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
অতিরিক্ত বিষাক্ত গন্ধের কারণে পুলিশ ওই এলাকায় প্রবেশ করতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিলো। তবুও তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে কয়েক ঘন্টার মধ্যে কয়েক শতাধিক লোককে নিরাপদ স্থানে পৌঁছানো সম্ভব হয়। যারা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাদেরকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কিং জর্জ হাসপাতাল এবং আরও কিছু বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একজন অ্যাম্বুলেন্স চালকের অসুস্থতার খবর পাওয়া গিয়েছে, যিনি অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন।
জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর একটি দলকে আশেপাশের দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে লোকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য লাগানো হয়েছিল। হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের ফায়ার ব্রিগেড বিভাগও জল ব্যবহার করে গ্যাসের প্রভাব হ্রাস করার তৎপরতা চালাচ্ছে।
স্থানীয় বিধায়ক পি গণ বাবু বলেন, ‘করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্সগুলিতেও লোকজনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে।’ জেলা কালেক্টর বিনয় চাঁদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘শ্বাসরোধের কারণে প্রায় ২০০ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।’ স্থানীয়রা জানান, অনেক লোক তাদের বাড়িতে রয়েছেন এবং ডাকে তাদের সাড়া মিলছে না। আধিকারিকরা দুপুর অবধি মানুষকে গোপালাপট্টমের দিকে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
অন্ধ্রপ্রদেশের পর্যটন মন্ত্রী এম শ্রীনিবাস রাও এবং উপ-পুলিশ সুপার উদয় ভাস্কর ক্ষতিগ্রস্থ জায়গাগুলি পরিদর্শন করেছেন।