সোমনাথ দত্ত, মালবাজার: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মালবাজার ব্লকের পর্যটন কেন্দ্র গজলডোবা এলাকায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের ফেলে যাওয়া জঞ্জাল সাফাই করলো মালবাজার শহরের পরিবেশ প্রেমী সংস্থা মাউন্টেন ট্রাকার্স ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। গজলডোবা বর্তমানে রাজ্যের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র। এখানেই গড়ে উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘ভোরের আলো’। প্রতি বছর অসংখ্য পরিযায়ী পাখি শীত পড়তেই এখানে এসে হাজির হয়। সম্প্রতি এখানে গড়ে উঠেছে পক্ষী বিতান কেন্দ্র।

এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিদিন বহু পর্যটক বেড়াতে আসেন। পিকনিকের মরসুমেও বনভোজনের উদ্দেশ্যে প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে এখানে। পর্যটকরা বেড়াতে এসে গজলডোবা এলাকা ঘুরে বেড়ান, সঙ্গে পিকনিকও করেন। তারপরই এলাকায় পরে থাকে পাহাড় সমান জঞ্জাল আবর্জনা।
এই এলাকা নিয়মিতভাবে বন্যপ্রাণী ও পাখিদের বিচরণ ক্ষেত্র। প্লাস্টিকের জঞ্জাল, মদের বোতল তাদের ক্ষতি সাধন করতে পারে বলেই ধারণা পরিবেশ প্রেমী থেকে শুরু করে এলাকার মানুষের। তাই রবিবার পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনে মাউন্টেন ট্রাকার্স ফাউন্ডেশনের ১২ জন সদস্য প্রায় ৫০ বস্তা প্লাস্টিকের আবর্জনা, মদের বোতল সাফাই করেন।
সংস্থার সম্পাদক স্বরুপ মিত্র বলেন, “কয়েকদিন আগে আমরা এখানে পক্ষী পর্যবেক্ষণ শিবির করেছিলাম। সেদিনই লক্ষ করেছিলাম প্রচুর আবর্জনা এলাকার সর্বত্র পড়ে আছে। এসব জঞ্জাল বন্যপ্রাণী ও পাখিদের ক্ষতি করতে পারে। সেদিনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে এই জঞ্জাল সাফাই করবো। তাই আজ জঞ্জাল সাফাই করলাম। এখানে পক্ষী বিতান রয়েছে, পাশেই বনাঞ্চল। ফলে পর্যটক ও পিকনিক পার্টিদের সংবেদনশীল হওয়া উচিত বলেই মনে করি।” এদিন এই সাফাই অভিযানে অংশ নেয় দেবাংশু শীল, জয় নন্দী সহ অন্যান্যরা। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা চিন্ময় সরকার, সঞ্জয় সরকার, সুভাষ সরকার, সুরজিৎ বিশ্বাসরা বলেন, “পর্যটকদের সংবেদনশীল ও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। বেড়াতে এসে এলাকা নোংরা করা কখনই শিক্ষিত মানুষজনের কাছ থেকে কাম্য নয়।”