
দি থার্ড আই ডেস্ক: লকডাউনের দরুণ বিভিন্ন এলাকার যৌনপল্লিগুলি বন্ধ হয়ে রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীদের আন্তরিক উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার যৌনপল্লিগুলিতে সামান্য সাহায্য করা হলেও সেই সাহায্য তাদের সংসার চালানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়। সেইসঙ্গে সম্পূর্ণ রাজ্যের ৩০হাজার যৌনকর্মীদের স্বেচ্ছাসেবীরা সাহায্য করতে পেরেছে কি না সে বিষয়েও সন্দেহ থেকে যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই সন্দেহের উত্তর না হওয়াই স্বাভাবিক।
তবে কি যৌন কর্মীদের দু-মুঠো না খেয়েই লকডাউনের সময়সীমা কাটিয়ে উঠতে হবে? না,কারণ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে রূপান্তরকামীদের মতো অবহেলীত মানুষদের পাশেও দাঁড়ান তিনি।
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন,”কলকাতায় কিছু ট্রান্সজেন্ডার আছে,যৌনপল্লি এলাকা আছে… খেয়াল রাখতে হবে যাতে যৌনকর্মীরা রোজ খাবার পান।” বিষয়টি দেখার জন্য তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।মুখ্যমন্ত্রীর এরূপ ঘোষণায় স্বস্তির নিশ্বাস নিতে পেরেছেন যৌনকর্মী ও রূপান্তরকামীরা।
গত ৩০শে মার্চ সোনাগাছির কাজ হারানো যৌনকর্মীদের হাতে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। ৩১শে মার্চ থেকে প্রান্তিক মহিলা ও শিশুদের খাবারের ব্যবস্থাও তিনি করেন। এছাড়াও রূপান্তরকামীদের হাতে চাল,ডাল,সাবান,আলু ইত্যাদি খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
অপরদিকে যৌনকর্মীদের সংগঠন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটিও যৌনকর্মীদের পাশে দাঁড়ায়।তাদের মতে,আগামী তিনমাস পল্লিগুলিতে পেশা বন্ধ রাখা প্রয়োজন। একজনের সংক্রমণ হলে মুহূর্তের মধ্যে সম্পূর্ণ এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে বলে তারা জানান। সম্প্রতি দুর্বার কমিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এখনও পর্যন্ত ১লক্ষ ৩০হাজার টাকা জমা পড়েছে বলে জানা যায়।