
দ্য থার্ড আই ডেস্ক: করোনা আতঙ্কের মাঝেও থেমে নেই অপরাধ প্রবণতা। লকডাউনের মাঝেই ধর্ষণের নৃশংসতা দেখল মধ্যপ্রদেশ। অষ্টাদশী এক তরুণীর উপর রাতভর পাশবিক নির্যাতন চালাল ৭ জন।
মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলার ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তরুণী তার ভাইয়ের মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ি ফেরার কিছুটা দূরেই তাঁদের রাস্তা আটকায় ওই সাতজন। তরুণীর ভাইকে চলে যেতে বলে, তিনি রাজি না হলে তাকে মারধর শুরু করে অভিযুক্তরা। পরে বাইক থেকে টেনে নামিয়ে তরুণীর ভাইকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় একটি কুয়োর মধ্যে।
নির্যাতিতা ওই তরুণী জানিয়েছেন, এরপরেই তাঁকে জোর করে বাইক থেকে নামিয়ে অনেকটা দূরে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে রাতভর তাঁর উপরে নৃশংস নির্যাতন চালায় সাতজন। মারধরের পাশাপাশি তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা আরও বলেন, তাদের থেকে ছাড়া পেয়ে কোনওরকমে গিয়ে ভাইকে কুয়ো থেকে টেনে তোলেন। তাঁর অবস্থাও ছিল গুরুতর। দুজনকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ রাজেন্দ্র ধুরবে জানিয়েছেন, ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছে তরুণীর পরিবার। এখনও পর্যন্ত সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ অভিযুক্তের মধ্যে ২ জনের পরিচয় জানা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের নাম সন্দীপ খাটিয়া (২৩) ও শুভম বেলে (২২)। তিন নাবালকের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এখনও ২ জনের খোঁজ মেলেনি। তারা গ্রামেরই কোথাও লুকিয়ে আছে বলে পুলিশের অনুমান।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩৬৫ (অপহরণ) ও ৩০৭ (খুনের চেষ্টা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।