
নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনার ছোবলে ক্ষত বিক্ষত জনসাধারণের জীবন। ইনকাম বন্ধ দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার গুলির, এমতাবস্থায় এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি, তারা অভাবী মানুষের পাশে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে চলেছে।
“Helping hands-মানবতার হাত” জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ছোট্ট একটি মানবতার গ্রুপ যার মূল কান্ডারী হলো ছাত্রসমাজ। বেশ কয়েক মাস আগে আল আমিন মিশনের ১০ জন প্রাক্তনী যারা বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পাঠরত,যাদের মূল মন্ত্র হলো আর্তপীড়িত, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে অসময়ে এসে দাঁড়ানো ও তাদের যথাসাধ্য সাহায্য করা ও তাদের মুখে হাসিফোটানো। সেটা করোনার মোকাবিলাতে হোক কিংবা শীতকালে ফুটপাত এ মানুষের সেবা করা হোক বা ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্ল্ডস ওমেনস ডে তে অসহায় অনাথ শিশুদের কিছু জিনিস সামগ্রী দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটানো।
তাই সংস্থার পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যতটা সম্ভব এই সমস্ত মানুষ গুলোকে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার।
তাই কিছু সদস্য পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, উত্তর 24 পরগনা, নদীয়া, পুরুলিয়া, দক্ষিণ 24 পরগনা ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ৬০০ টির ও বেশি পরিবারকে রসদ ও কিছু মুমূর্ষ রোগীকে তাদের অতি আবশ্যকীয় ঔষধ কিনে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে ।
এই সংস্থার সদস্য হেফজুর আলাম (ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ), সামীনূর আলম ( এস এস কে এম), মীনহাজুল (মেডিকেল কলেজ কোলকাতা) রা জানান করোনা পরবর্তীতে গ্রামে গ্রামে গিয়ে মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রয়োজনীয়তা বোঝাবেন ও বিলি করবেন তাঁরা। এছাড়াও উচ্চমাধ্যমিকের পর যে সকল পড়ুয়ারা শুধুমাত্র দারিদ্রতার কারণেই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে চায়, তাঁদের সহযোগিতাও করবে এই সংস্থা। প্রসঙ্গত, করোনার আগেও বিভিন্ন দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে পড়ুয়াদের নিয়ে তৈরি এই সংগঠন। অক্লান্ত পরিশ্রম আমাদের এই ছোট্ট প্রচেষ্টা গুলোকে বাস্তবায়নে অনেকাংশে সাহায্য করেছে।