বিশেষ প্রতিনিধি, হুগলি : হুগলির তেলেনিপাড়ায় নিয়মিত হিংসার ঘটনার কারণে বুধবার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল ভদ্রেশ্বর থানার আইসি-কে। ভদ্রেশ্বর থানায় তিনি অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে ছিলেন। আদতে তিনি ছিলেন চন্দননগরের সিআই।
শনিবার থেকে হুগলির তেলেনিপাড়ায় অশান্তি শুরু হয়। পাঁচ দিন পরেও সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়। ঘটনার দায় পরোক্ষে বিজেপির ঘাড়ে চাপানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষমেষ হুগলির জেলাশাসককে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইতিমধ্যে হুগলির ১১টি থানা এলাকায় ১৭ মে পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। গ্রেফতারও হয়েছে ৩৬ জন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসক দল ও বিজেপির মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এদিকে তেলেনিপাড়ায় যাওয়ার পথে মানকুণ্ডুতে পুলিশ আটকে দেয় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পালটা অভিযোগে বলেন, তেলেনিপাড়ায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। যদিও শেষ দুই মাস তাঁকে এলাকায় দেখা যায় নি।
মঙ্গলবারের পরে বুধবারও এলাকার অনেক দোকানপত্রে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন লাগানোর ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক দিন ধরে পরিস্থিতি বেশ উত্তেজনাকর হওয়ায় তেলেনিপাড়া ও সংলগ্ন
এলাকাবাসী আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।