নিউজপিডিয়া ডেস্ক: আর তিন দিন পরেই ঈদ-উদ-জ্জোহা বা কুরবানির ঈদ। আর এই কুরবানির ঈদ গোটা বিশ্ব জুড়েই মুসলিম সম্প্রদায়েরা পালন করে থাকেন। কিন্তু এই ঈদের পশু হত্যা নিয়ে সম্প্রতি সরগরম হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশের রাজ্য ও রাজনীতি।
উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের লোনী কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক নন্দকিশোর গুর্জর বলেছেন যে, করোনা আবহে এ বছর পশু কুরবানি দেওয়া উচিত নয় মুসলিম দের। আর যদি দিতেই হয় তবে নিজের সন্তান কে দেয়। বিজেপি বিধায়কের এহেন মন্তব্যের পর শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সমাজবাদী পার্টি।
বিজেপি বিধায়ক বলেন,”যেভাবে সনাতন ধর্মে বলির বদলে আমরা নারকেল ফাটিয়ে রীতি পালন করি তেমনি মুসলিমদের বলবো করোনা পরিস্থিতিতে কুরবানি বন্ধ রাখুন। নিরীহ পশুগুলিকে মারবেন না। ইদে কাউকে কুরবানি দিতে দেখা গেলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি কেউ ভেবে থাকেন, না আমি বলি দেবই। তাহলে নিজের প্রিয় জিনিস, নিজের সন্তানকে বলি দিন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই।” নন্দকিশোর আরও বলেন,” যে যেমন কর্ম করে সে তেমন ফল পাবে। যদি এই জন্মে আপনি ছাগল, ভেড়া কেটে খান তাহলে পরের জন্মে আপনিও ছাগল বা ভেড়া হবেন আর লোকে আপনাকে কেটে খাবে”। নন্দকিশোরের এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নিমেষেই ভাইরাল হয়ে পরে এবং শুরু হয় বিতর্ক। বিধায়কের এই মন্তব্যের পরই সমাজবাদী পার্টির সাংসদ সইফুর রহমান বলেন যে কেউ তাদের নমাজ আটকাতে পারবে না। তারা বাজারেও যাবেন এবং কুরবানিও দেবেন।