নিউজপিডিয়া ডেস্ক: গত ২৪ ঘন্টায় নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন বাংলায়। নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৮ জন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন ৪৯ জন করোনা আক্রান্ত এমনটাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
রাজ্যে মোট সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৪৩ জন। বাংলায় সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৮৬ জন এবং এর মধ্যে ৩৭২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন নিজ বাস ভবনে। স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার জানিয়েছেন, বাংলায় ৩০’শে এপ্রিলের পর থেকে সুস্থতার হার ১৮ শতাংশ থেকে বেড়ে দাড়িয়েছে ২০.৩৪ শতাংশে।
রাজ্যে মোট ১৭৮৬ জন আক্রান্তের মধ্যে ৯১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতায়, হাওড়া থেকে ৩৭৯ জন এবং উত্তর চব্বিশ-পরগনার ২৪৩ জন। গতকাল ১১ জনের মৃত্যুর ফলে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯, শতক পূরণ হতে একজন বাকি। মৃত ৯৯ জনের মধ্যে ৬৪ জন মারা গেছে কলকাতায়, হাওড়া ও উত্তর ২৪-পরগনায় মৃত্যুবরণ করেছে ১৫ জন করে।
গত ২৪ ঘন্টায় ৩৬০১ টি স্যাম্পল টেস্ট করা হয়েছে, এখনো পর্যন্ত রাজ্যে সর্বমোট করোনা টেস্ট হয়েছে ৩৯৩৬৮ জনের। মানুষের টেস্টের পরিমান ৩০’শে এপ্রিলের পর থেকে ১৮৩ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩৭ প্রতি মিলিয়ন।
পরীক্ষিত নমুনাগুলির মধ্যে নেগেটিভ মামলার শতাংশ ৪.৫৪ শতাংশ যা ৩০ শে এপ্রিল ৪.৬ শতাংশ ছিল।
ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে একটি দল (পৌর বিষয়ক মন্ত্রী এবং এখন কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশন এর বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটারদের প্রধান) শহরে এই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি ঠেকানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। হাওড়া ও উত্তর চব্বিশ-পরগনার সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের ৫৮২ টি সরকার পরিচালিত কোয়ারানটাইন সেন্টারে রাজ্যে ৫,৪৭৮ জন লোক রয়েছে এবং পাশাপাশি হোম কোয়ারেন্টাইনে ১৪,৪৯০ জন লোক রয়েছে। বাংলার স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা এ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ৬.৬৯ লক্ষ পিপিই কিট, ৩.৪৩ লক্ষ এন-৯৫ মাস্ক, ২৩.৬ লক্ষ সাধারণ মাস্ক ও ১.৩ লক্ষ লিটার হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ ১৩.৫ লক্ষ গ্লাভস পেয়েছেন।