নিউজপিডিয়া ডেস্ক: “কমরেড” এবং “লাল সালাম” বা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেনিনের ছবি আপলোড করলে যে কেউই এখন অসমে বেআইনি কার্যকলাপ আইনের(ইউএপিএ) অধীনে কারাগারে থাকতে পারে। অসম আরটিআই কর্মী ও কৃষকদের নেতা আখিল গগৈয়ের সহযোগী বিট্টু সোনোয়াল এবং আরও দু’জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) ফেসবুকে এই শব্দগুলির ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছে। জানা গিয়েছে, বিট্টু সোনোয়াল তার কিছু বন্ধুকে ‘কমরেড’ বলে সম্বোধন করেছিলেন এবং” লাল সালাম” শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন।
এনআইএ এর অভিযোগে এই বছরের গোড়ার দিকে সোনোয়াল ও গগৈয়ের আরও দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গত বছর গগৈকে সিএএ বিরোধিতার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গগৈয়ের এর উপদেষ্টা অভিযোগ করেছিলেন, ‘এনআইএ’য়ের জমা দেওয়া ৪০ পৃষ্ঠার চার্জশিটে তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। এনআইএ দাবি করেছিল যে অসমিয়া ভাষায় রচিত “কমিউনিস্ট ইশতেহার”, ইংরেজিতে লেখা “লেনিনের নির্বাচিত কাজ” এবং অসমিয়াতে মাও সেতুং সম্পর্কিত মাওবাদী বই পাওয়া গিয়েছে। এ বিষয়ে কেএমএসএস এর সভাপতি ভাশকো সাইকিয়া বলেন, “তদন্তকারী সংস্থা নেতাদের মাওবাদী প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। খোলা বাজার থেকে কেনা বইকে কেন্দ্র করে কেউ মাওবাদী হতে পারে না।” এটা যে হাস্যকর তাও উল্লেখ করেন তিনি।
গত বছরের ডিসেম্বরে অসমে নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইনের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভের জেরে আখিল গগৈ এনআইএ দ্বারা গ্রেপ্তার হয়েছিল। পরে বিট্টু সোনোয়াল সহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের সবাই এখন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে। এনআইএ-র অভিযোগ, গগৈ সিপিআই (মাওবাদী) সদস্যদের সঙ্গে একাধিক গোপন বৈঠক করেছেন। এতে দাবি করা হয়েছিল, মতবিরোধের নামে দীর্ঘদিন ধরে অসমে “সরকারী কাজ ব্যাহতকারী রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিল”। তদন্ত সংস্থা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইপিসির ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ১২৪ এ (রাষ্ট্রদ্রোহিতা), ১৫৩ এ (ধর্ম, বর্ণ ইত্যাদির ভিত্তিতে দু’পক্ষের মধ্যে শত্রুতা প্রচার), ১৫৩ বি (অভিজাতকরণ, জাতীয় সংহতকরণের পূর্বশর্ত) দাবি করেছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।