নিজস্ব সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি : ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের আগে জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি ব্লকের একাধিক জায়গায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবার প্রবণতা বাড়ছে। করোনা আবহের মধ্যেও সিপিআইএম এবং বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের ঘটনায় বাড়তি অক্সিজেন পাচ্ছে ব্লক তৃণমূল। গতকাল রাতে গাদং এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের কথাপাড়া এলাকার প্রায় ১৯ টি পরিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। যার মধ্যে কথাপাড়া এলাকার গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী ও বুথ সভাপতিও রয়েছেন বলে দাবি তৃণমূলের। এই কর্মসূচির সময় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মিতালী রায় এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মমতা সরকার বৈদ্য এবং এলাকার প্রধান নির্মল রায়।
তাছাড়া একই দিনে সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ের এবিভিপি যুগ্ম সম্পাদক তাপু সোনা রায় তার বেশকিছু অনুগামী নিয়ে রবিবার রাতে আচমকা তৃণমূল ছাত্র পরিষদে যোগদান করেন। ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালী রায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন তাপু সোনা। এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যেতেই হৈচৈ পড়ে যায় ধুপগুড়িতে।সোমবার সকালে দলের এই প্রাক্তন এবিভিপি যুগ্ম-সম্পাদক তাপুসোনা রায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের বিষয়ে ধূপগুড়ির অখিল ভারত বিদ্যার্থী পরিষদের নগর সম্পাদক সঞ্জীব দাস এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, “অখিল ভারত বিদ্যার্থী পরিষদ ছাত্রনেতা তৈরি করার মেশিন। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের এমন অবস্থা যা দেখে বোঝা গেল, এক ছাত্র নেতাকে বলপূর্বক জয়েন করাতে এমএলএকে যেতে হচ্ছে। আগামী দিনে আমরাই নির্ণায়ক শক্তি হব সুকান্ত মহাবিদ্যালয়ে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কে আগামী দিনে দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।” তবে এই প্রসঙ্গে তাপু সোনা রায় জানান, আমি স্ব-ইচ্ছায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদে যোগদান করেছি।