নিউজপিডিয়া ডেস্ক: অবশেষে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপ্রস্তরের শিলান্যাস হল। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের হাতে রূপার ইট বসিয়ে মন্দির তৈরির সূচনা করেন। এদিন রাম মন্দিরের ভূমি পুজো সেরে এই দিনটিকে স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে তুলনা করলেন প্রধানমন্ত্রী৷ সেই সঙ্গে দিনটিকে ‘সোনালি দিন’ হিসাবেও চিহ্নিত করেন তিনি৷ তাঁর আশা মন্দির তৈরি হলে দেশের অর্থনীতি বদলে যাবে।
তিনি বলেন, “আজ থেকেই রাম জন্মভূমি স্বাধীনতা লাভ করলো৷ রাম মন্দিরের জন্য যে লক্ষ লক্ষ ভক্ত বছরের পর বছর নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, এই দিনটি তাঁদের সেই আত্মত্যাগের প্রতীক৷”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় কয়েকটি প্রজন্ম নিজেদের সবকিছু সমর্পণ করে দিয়েছিল৷ পরাধীনতার সময় এমন কোনও সময় ছিল না যখন স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন চলেনি৷ দেশের কোনও প্রান্ত ছিল না, যেখানে স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য কেউ আত্মত্যাগ করেনি৷ ১৫ অগাস্টের দিনটি সেই লক্ষ লক্ষ বলিদানের প্রতীক৷ স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টা, ইচ্ছার প্রতীক৷ ঠিক একই ভাবে কয়েক যুগ ধরে, কয়েক প্রজন্ম রাম মন্দিরের জন্য অবিরাম চেষ্টা করেছেন৷ সেই ত্যাগ, বলিদান, সংকল্পেরই প্রতীক আজকের দিনটি৷’ এই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছেন বলেও মন্তব্য করেন মোদি।

তিনি বলেন, “শুধু অযোধ্যা নয়, আজ গোটা বিশ্বে রাম নামের ধ্বনি শোনা যাচ্ছে৷”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেকদিন ধরে মন্দির ভেঙে ফেলার ধারা চলছিল। আজ তা বন্ধ হল৷”

পাশাপাশি তাঁর দাবি, রাম মন্দির তৈরি হলে অযোধ্যার অর্থনীতি পালটে যাবে৷ গোটা বিশ্ব থেকে মানুষ রাম মন্দির দেখতে আসবেন৷ রামমন্দির ভারতের ঐতিহ্যের আধুনিক প্রতীক হয়ে উঠবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই মন্দির অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে। রাম মন্দির কোটি কোটি মানুষের ইচ্ছের ফসল৷”
প্রধানমন্ত্রী জানান, সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা রাম রাজত্বের সবথেকে বড় কাজ৷ শ্রীরামের বার্তা গোটা বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী৷