
কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন তখনই বলা হয় যখন কোভিড-১৯ পজিটিভ কোন ব্যক্তির সংক্রমিত দেশ ভ্রমণ বা সরাসরি কোন জানা কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে আসার ইতিহাস থাকেনা। এই অবস্থাটি মারাত্মক। এক্ষেত্রে রোগ কার কাছ থেকে ছড়াচ্ছে জানা যায়না এবং আইসোলেশন ব্যাপারটিও অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে রোগ দাবানলের মত ছড়াতে আরম্ভ করে।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত আইসিএমআর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ) জানিয়েছিল কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ভারতবর্ষে এখনো শুরু হয়নি। কিন্তু গত কয়েকদিনের তথ্য থেকে আইসিএমআর জানিয়েছে নতুন রোগীদের মধ্যে ৩৮ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে সংক্রমণের কারণ অজানা।
সেভয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস (SARI), মারাত্মক শ্বাসকষ্টের লক্ষ্মণযুক্ত রোগীদের ব্যাপক টেস্ট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইসিএমআর। মার্চ ১৪’র আগে বেছে বেছে কিছু SARI রোগীর টেস্ট করা হত। ফলে ঐ সময়ের আগে কোন করোনা পজিটিভ কেস পাওয়া যায়নি।
মার্চ ১৫’র পরে পর্যাপ্ত টেস্টিং কিট হাতে পেয়ে সমস্ত SARI রোগীর টেস্টিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে মার্চ ১৫ থেকে ২১ এর মধ্যে ১০৬ জন কোরোনা পজিটিভ রোগীর সন্ধান মেলে।
এরপর সংখ্যাটা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। মার্চ ২২ থেকে ২৮ এই সংখ্যা দাড়ায় ২৮৭৭ এর মধ্যে ৪৮ জন পজিটিভ (১.৭%); মার্চ ২৯ থেকে এপ্রিল ২, ২০৬৯ জনের মধ্যে ৫৪ জন পজিটিভ (২.৬%)। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মোট ৫৯১১ জন SARI রোগীর মধ্যে ১০৪ জন কোরোনা পজিটিভ (১.৮%)। এদের মধ্যে ৪০ জনের (৩৮%) বিদেশ ভ্রমণের কোন ইতিহাস নেই।
রাজ্যগুলির মধ্যে SARI কোরোনা পজিটিভ কেস মহারাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ২১ জন।
তাহলে কি বলা যায় ভারতে ব্যাপক কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে? এরকম হলে ব্যাপারটি সত্যিই ভয়ের কারণ হবে। আমাকে-আপনাকে আরো বেশী দায়িত্বশীল হতে হবে আগামীতে।
এখন পর্যন্ত ভারতবর্ষে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৬৭৭১, মৃত ২২৮।