
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, মুহাম্মাদ আল মামুনঃ বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ অব্যাহত। মারণ এই ভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমিত হয়েছেন স্ব-স্ত্রীক ইসরাইলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়াকভ লিৎজম্যান। ইজরায়েলী প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগসাজশ রয়েছে বলে খবর। তাই দেশটর স্বাস্থ্যমন্ত্রীর করোনা পজিটিভ টেস্ট ধরা পড়ার সাথেসাথেই সেল্ফ-আইসোলেশনে গেছেন দেশটির একাধিক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা, কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা।
ইরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নিজেই আক্রান্ত হন কিনা তা যদিও স্পষ্ট নয়।
প্রধানমন্ত্রীর অফিস সূত্রে খবর, ইতিপূর্বে নেতানিয়াহুকে সাবধানতা হিসাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছিল। তবে সেসময় নেতানিয়াহুর অবশ্য নেগেটিভ ধরা পড়েছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পরপরই, সম্প্রতি কোয়ারেন্টিন থেকে বেরিয়ে আসা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ফের সেল্ফ-আইসোলেশনে গিয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক নিউজ মিডিয়া আল জাজিরা সূত্রে খবর, ইসরাইলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ৭১ বছর বয়সী ইসরাইলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়াকোভ লিটজম্যান ও তার স্ত্রীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। তাদের দেহে কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্তের পরই আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত দুজনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তারা দ্রুত সেরে উঠবেন এমন আশা ব্যক্ত করা হয়েছে বিবৃতিতে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, দেশটির পিএম কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আক্রান্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় ফের নিজেই আইসোলেশন নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি অনুসারে, ইসরাইলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে। মারা গেছেন ৩৬ জন।
প্রসঙ্গত, ইসরাইলে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ৬ হাজার ৮৬ জন। মৃত্যুর প্রায় সংখ্যা ২৫ জন। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৩৯ জন। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলে করোনা সংক্রমণের পারদ ক্রমশই উর্ধ্বমুখী।
অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, নভেল করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ১০ লাখ ৯৬ হাজার ৩৩৪ জন। এদের মধ্যে বর্তমানে ৮ লাখ ১০ হাজার ২৫১ জন চিকিৎসাধীন এবং ৩৯ হাজার ৩৫৬ জন (৫ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন এবং ৫৯ হাজার ১৫৫ জন ( প্রায় ২১ শতাংশ) রোগী মারা গেছেন।