
দ্য থার্ড আই ডেস্ক : গোটা বিশ্বে করোনা এক অদৃশ্য, অজানা শত্রু যার তান্ডব চলছে এখন। এই মারণ ভাইরাস নিয়ে ফের একবার সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। মারণ করোনাভাইরাসের থাবা থেকে সহজে মুক্তি মিলবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান টেডরস অ্যাডানাম গেব্রিয়েসাস।
বুধবার জেনিভায় সংস্থার সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্বের প্রতিটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “কোনও ভুল করলে চলবে না। একটা জিনিস স্পষ্ট বলে দেওয়া ভাল, সহজে করোনার হাত থেকে রেহাই মিলবে না। অনেকদিন আমাদের মারণ ভাইরাসের মোকাবিলা করতে হবে। আরও অনেকটা পথ চলতে হবে।”
রাষ্ট্রসংঘের হেলথ এজেন্সি ৩০ জানুয়ারি গোটা বিশ্বে ইমার্জেন্সির বার্তা দিয়েছিল। আর সেটা একেবারে সঠিক সময় ছিল বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরও একবার সতর্ক করে বলেন, “কোনও ভুল করবেনা। আমাদের এখনও অনেক পথ চলার বাকি। আর এই ভাইরাস আমাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে।”
কিছুদিন আগেই তিনি স্প্যানিশ ফ্লু এর প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেছেন করোনা ভাইরাস এর চেয়েও সাংঘাতিক। তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে বলছেন, করোনা ভাইরাস খুবই সাংঘাতিক। ১৯১৮-র ফ্লুতে ১০ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
তিনি আরও বলেছেন, “এখন আমাদের প্রযুক্তি উন্নত। আমরা এই বিপর্যয়কে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি। আমাদের সেই ক্ষমতা এখন আছে। বিশ্বাস করুন। কিন্তু, এখনও পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”
উল্লেখ্য, WHO কর্তা আগেও বলেছেন, “লকডাউন তোলার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। সেক্ষেত্রে পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে। এই ভাইরাসটি ভয়ংকর রূপ নিয়ে ফিরে আসতে পারে। তাড়াহুড়ো করলে লকডাউন তোলার পরবর্তী পরিস্থিতি লকডাউনের আগের মতোই হবে।”
যে দেশগুলিতে এখন লকডাউন চলছে, তাদের এই বন্দিদশা কাটানোর উপায়ও বাতলে দিয়ছে WHO। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে লকডাউন তুলতে হলে অন্তত ৬টি বিষয় মাথায় রাখতে হবে আক্রান্ত দেশগুলিকে। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, “স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামো এমন জায়গায় পৌঁছে দিতে হবে, যাতে সংক্রমণ হলেও আক্রান্তদের সনাক্ত করে তাঁদের পরীক্ষা, আইসোলেশন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে।”