নিউজপিডিয়া ডেস্ক, ২৮ জুলাইঃ ফের তৃণমূল কংগ্রেসে গুরুত্ব বাড়লো প্রাক্তন সাংসদ তথা সাংবাদিক কুণাল ঘোষের। এবার তাঁকে দলের মুখপাত্র করা হল। ২০১৩ সালে সারদা কেসে গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁকে ছয় বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে জেল থেকে বেরিয়ে তিনি আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন তৃণমূলের পাশেই আছেন। বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতার সঙ্গে তাঁকে একমঞ্চে দেখা যায়। এমনকি ২০১৯ সালের ২১ শে জুলাইয়ের শহিদ স্মরণ সমাবেশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি একমঞ্চে ছিলেন।
এবার কুণাল ঘোষকে তৃণমূলের রাজ্যস্তরের মুখপাত্র করা হল। কুণাল সহ ২২ জনকে দল রাজ্যস্তরে মুখপাত্র হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন দলের তরুণ তুর্কী দেবাংশু ভট্টাচার্যও। দেবাংশু সদ্য দলের রাজ্য যুব কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সুদীপ রাহা, কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী, নির্বেদ রায়, সমীর চক্রবর্তী, পার্থ ভৌমিক, অরূপ রায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রমুখ রাজ্যস্তরে মুখপাত্র হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ওই তালিকায় বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত জাহান রুহির নামও রয়েছে।

তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র হিসাবে নাম নেই মহুয়া মৈত্র-র। জাতীয় স্তরে ১২ জনের নাম মুখপাত্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ডেরেক ও’ব্রায়েন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মণীষ গুপ্ত, শশী পাঁজা, ইতিহাসবিদ সুগত বোস, নাদিম উল হকের নাম থাকলেও ওই তালিকায় মহুয়ার নাম নেই। এই বিষয়টি দলের অনেককে বিস্মিত করেছে। জাতীয় টিভি চ্যানেলের ডিবেটে মহুয়া একজন আগ্রাসী বক্তা। প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়েন না। এমন সুবক্তার নাম মুখপাত্রের তালিকায় কেনো নেই তা নিয়ে ইতিমধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।