নিজস্ব সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সদ্য ফল প্রকাশ হয়েছে। জঙ্গিপুরের এবার বহু পড়ুয়া ভালো ফল করেছে। শুধু ভালো ফল করেছে তাই নয়, জঙ্গিপুরের মেয়ে নসিফা খাতুন এবার মাদ্রাসা বোর্ডে প্রথম ও জঙ্গিপুরের আরেক কৃতি স্বাগতা দাস উচ্চ মাধ্যমিকে বোর্ডে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে গোটা জঙ্গিপুরকে গর্বিত করেছে। কিন্তু, এলাকায় বহু পড়ুয়া আছে যারা মেধা বা দরিদ্র। তারা আরও পড়তে চাই, কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক অস্বচ্ছতা। সেইসব মেধা ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছ পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন পেশায় শিক্ষক জঙ্গিপুরের কৌশিক পাল।
এমন পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের তিনি খোঁজ করে বাড়ি বাড়ি বই পৌঁছে দিচ্ছেন। কৌশিক পাল বলেন, করোনার ফলে লকডাউন স্কুল ছুটি। একরকম তো বসে বসেই বেতন নিচ্ছি। সেই বেতনের কিছু টাকা এলাকার ছেলেমেয়েদের পড়ার পেছনে ব্যয় করি, তবে তো একদিন এর সুফল সকলেই পাবো। বইপত্রের দাম তো বেশি, তাই যথা সম্ভব চেষ্টা করে যাচ্ছি।
মালদহের রাজনগর হাই স্কুলের বাংলার শিক্ষক কৌশিক পাল।
লেখাপড়া ও ছাত্রছাত্রী অন্ত প্রাণ। তাই, ছাত্রছাত্রীরা সমস্যা নিয়ে এলেই সাহায্য করেন। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বসে গল্পও শুরু করে দেন। প্রতিবেশীর বিপদেও ঝাপিয়ে পড়েন। দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো থেকে, কন্যা দায়গ্রস্ত পিতাকে সাহায্য করা। এমনকি গভীররাতে শ্মশানের সৎকার থেকে গোরস্থানে সমাধিস্থ করে ঘরে ফেরা। অত্যন্ত বন্ধু প্রিয় এই শিক্ষক, দুঃস্থ , মেধা ও পড়তে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি বই কিনে দিচ্ছেন। তাদের পাশে থাকার আশ্বাস সহ লেখাপড়া সংক্রান্ত বিষয়ে সবসময় সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বই দিয়ে সাহায্য করে পড়ালেখায় অনুপ্রাণিত করার জন্য তিনি সবার প্রিয় কৌশিক স্যর হয়ে উঠেছেন।