নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার : তোর্সা নদীবক্ষে কোচবিহার শহর লাগোয়া ফাঁসিরঘাট কোচবিহার শহরের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। করোনা সংক্রমণের জেরে গণপরিবহন গুলো সেভাবে রাস্তায় না থাকায় কোচবিহার দক্ষিণ-পশ্চিমাংশের লক্ষ লক্ষ মানুষের একমাত্র বিকল্প শহর প্রবেশের মাধ্যম হয়ে পড়েছে ফাঁসিরঘাট। সময়ের সাথে সাথে তোর্সায় জলস্তর বাড়ছে। অন্যদিকে দুদিন থেকে টানা ঝড়বৃষ্টির কারণে জলের তোড়ে যেকোনো সময় ভেসে যেতে পারে বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো। যার ফলে প্রায়-বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে কোচবিহারের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ।
এই ফাঁসিরঘাটে একটি সড়ক সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের। এই দাবিতে গড়ে উঠেছে ফাঁসিরঘাট সেতু আন্দোলন কমিটি। কমিটি সেতুর দাবিতে সভা, সেমিনার, গণস্বাক্ষর অভিযান, গণকনভেনশনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে গত ২০১৯ সেপ্টেম্বরে সেতুর দাবি পত্র রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে গেছে। সেই দাবি পত্র নবান্ন থেকে একটি চিঠি রাজ্যের পি ডব্লিউ ডি ডিপারমেন্টে পাঠানো হয়েছে এবং নবান্ন থেকে একটি চিঠি ফাঁসিরঘাট সেতু আন্দোলন কমিটির কাছে গত ডিসেম্বর 2019 এসেছে। ফাঁসিরঘাটে সড়ক সেতুর দাবির বিষয়টি কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের মাননীয় বিধায়ক গত ডিসেম্বর ২০১৯ এ বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন সময়ে বিধানসভায় উত্থাপন করেন। কমিটির তরফে ইতিমধ্যেই দাবিপত্র উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী, কোচবিহার জেলার সাংসদ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। কমিটির সভাপতি কাওসার আলম ব্যাপারী বলেন, “ফাঁসিরঘাটে সড়ক সেতুর দাবি ন্যায্য ও মানবিক । ফাঁসির ঘাট এর গুরুত্ব বিচার করে এই দাবি অবিলম্বে পূরণ করা উচিত সরকারের।”